রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
Published : 17 Sep 2024, 12:05 AM
সরকারের পালাবদলের পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতাদের গ্রেপ্তার অভিযানের মধ্যে এবার আটক হলেন সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
পুলিশের ওয়ারি বিভাগের উপকমিশনার মো. সালেহউদ্দীন বলেন, “যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় আমরা তাকে শ্যামলীর একটি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে এসেছি।”
এ নিয়ে গত তিন দিনে আওয়ামী লীগের সাবেক তিন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হল।
শনিবার রাতে ঢাকার ইস্কাটনে গ্রেপ্তার হন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
পরদিন রোববার রাতে বেইলি রোড থেকে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এবং সেগুনবাগিচা থেকে সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের নিয়ে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টাসহ দুই ডজনের বেশি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এখন কারাগারে।
গণ আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিন দিন পর গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা।
এদের মধ্যে আছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
সবশেষ গ্রেপ্তারের তালিকায় যুক্ত হলেন টানা চারবারের সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম সুজন, যিনি পঞ্চগড়-২ আসন থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০১৯ সালে রেলমন্ত্রী হন। ওই নির্বাচনে প্রচারণা চলাকালীন তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন মারা যান। তিনি রেলমন্ত্রী হওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে প্রথমবার সাংসদ হন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সুজন। পরে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন। ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদের ভোটে জয়ী হলেও মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি তার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র সুজন ডাকসুর বিজ্ঞান মিলনায়তন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার পর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন।