জাহাজবাড়ি জঙ্গি আস্তানা: অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পেছাল

এরআগে ১৮ জুলাই এ মামলায় অভিযোগ গঠনের কথা থাকলেও এক আসামিকে আদালতে হাজির না করায় তা পিছিয়ে যায়।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2022, 02:51 PM
Updated : 12 Sept 2022, 02:51 PM

আসামিপক্ষের সময় আবেদনের কারণে ঢাকার কল্যাণপুরে ‘জাহাজ বাড়ি’ জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি আরও এক দফা পিছিয়েছে।

সোমবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ছিল। এদিন অন্যতম আসামি আব্দুর রউফ প্রধানের পক্ষে তার আইনজীবী জসীম উদ্দিন সময় চান।

বিচারক মজিবুর রহমান সে আবেদনে সায় দিয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর শুনানির নতুন তারিখ দেন।

গত ১৮ জুলাই এ মামলায় অভিযোগ গঠনের কথা থাকলেও এক আসামিকে আদালতে হাজির না করায় তা পিছিয়ে যায়। পরে ১২ সেপ্টেম্বর শুনানির তারিখ ঠিক করেন বিচারক।

কল্যাণপুরের ওই ‘জঙ্গি আস্তানা’য় অভিযানের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি গোলাম ছারোয়ার খান জাকির সোমবার শুনানি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন।

করোনাভাইরাস মহামারী, আসামি হাজির না করা এবং জঙ্গি হামলার আলোচিত অন্যান্য মামলার চাপ এবং আসামিপক্ষের সময় আবেদনের কারণে মামলাটি থমকে আছে।

সোমবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে আদালতের এক কর্মচারী এই মামলার বিষয়ে বলেন, “মামলাটিতে তদন্ত ভালো হয় নাই। ... মামলা প্রমাণ করা খুব কঠিন। যে কারণে আমরা তেমন গরজ দেখাই না।”

২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরে ‘তাজ মঞ্জিলে’ জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নকশার কারণেওই বাড়িটি স্থানীয়দের কাছে জাহাজ বাড়ি নামে পরিচিত।

ওই অভিযানে সন্দেহভাজন ৯ জঙ্গি মারা যায়। হাসান নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। পালিয়ে যায় আরও একজন। তারা সবাই জেএমবির সদস্য বলে দাবি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অভিযানের পর ওই বছর ২৭ জুলাই মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। তাতে আসামি হিসেবে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

জাহাজাবাড়িতে অভিযানের দুই বছর পর ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন।

এরা হলেন- রাকিকুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০),

আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে কুলমেন (৩৩) ও হাদিসুর রহমান সাগর (৪০)।

আরও খবর

Also Read: জাহাজবাড়ি মামলায় ৬ বছরেও শুরু হয়নি বিচার