“দুদক, বিচার বিভাগ, এমনকি গোয়েন্দা সংস্থা– সবগুলো প্রতিষ্ঠান অবৈধ পন্থায় ধনী হওয়া কিছু লোকের হাতে ব্যবহৃত হয়েছে; তাদের মধ্যে রাজনীতিবিদ যেমন আছেন, তেমনি আছেন ব্যবসায়ী। এই সবগুলো ক্ষেত্রে সংস্কার দরকার, এবং সেটা অতি জরুরি,” বলেন তিনি।
Published : 20 Nov 2024, 12:09 AM
প্রভাবশালী মহলের অন্যায় রোষ আর মিথ্যা মামলার দুর্বিপাকের বছরগুলোতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কোন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে, তা সামনে আনলেন প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
তিনি বলেছেন, “দুদক, বিচার বিভাগ, এমনকি গোয়েন্দা সংস্থা– সবগুলো প্রতিষ্ঠান অবৈধ পন্থায় ধনী হওয়া কিছু লোকের হাতে ব্যবহৃত হয়েছে; তাদের মধ্যে রাজনীতিবিদ যেমন আছেন, তেমনি আছেন ব্যবসায়ী। এই সবগুলো ক্ষেত্রে সংস্কার দরকার, এবং সেটা অতি জরুরি।”
তার ভাষায়, জবাবদিহিতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার স্বার্থেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা দরকার, আর নেতৃত্ব দিতে হবে দক্ষ ও পেশাদার ব্যক্তিদের হাতে।
বাংলাদেশের সংবাদ সেবাকে ডিজিটাল দুনিয়ায় পৌঁছে দেওয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ১৮ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে খালিদী তার অভিজ্ঞতা থেকে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
সরকারের কর্তাব্যক্তি, রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যক্তিসহ রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিকরা মঙ্গলবার রাতে ঢাকার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
যাদের ঘিরে আবর্তিত হয় সংবাদ, প্রতিষ্ঠবার্ষিকীর সুযোগে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে একসময় প্রায় নিয়মিতই বার্ষিক এ আয়োজনে মিলিত হত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। কিন্তু দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পর নানা ক্ষেত্রে বাঁক বদলের সাক্ষীদের আবার এক মঞ্চে আনতে কেন আট বছর অপেক্ষা করতে হল, সেই ব্যাখ্যা বক্তব্যের শুরুতেই দেন খালিদী।
তিনি বলেন, “গত কয়েক বছর যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা গেছি, তাকে আর যাই হোক, স্বাভাবিক বলা চলে না। চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে বার্ষিক এ অনুষ্ঠানের মত আরো অনেক রেওয়াজই আমাদের ভুলে থাকতে হয়েছে। যে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে, মোটা দাগে তার খানিকটা কেউ কেউ জানেন। তবে পুরো গল্পটা কখনো বলা হয়নি। সত্যিকার অর্থে যা ঘটেছিল, তার আভাস আজ রাতে আমি আপনাদের দিতে চাই।”
প্রধান সম্পাদকের ভাষায়, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের গল্পটা কেবল প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে নতুন ধরনের এক সংবাদমাধ্যমের নতুন বিজনেস মডেলের পরীক্ষায় উৎরে যাওয়ার গল্প নয়; সর্বোচ্চ মানে পৌঁছানোর আকাঙ্ক্ষায় গভীর অভিনিবেশ, অবিচল সংকল্প আর নিরলস সাধনারও গল্প।
তিনি বলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কখনো ভয় কিংবা অনুগ্রহের পথে পরিচালিত হয়নি; দায়বদ্ধ থেকেছে কেবল মানুষের প্রতি, পাঠকের প্রতি।
“এমনকি ২০০৭-০৮ সালের সেই অস্থির দিনগুলোতে, যখন একটি সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল, এবং পরের বছরগুলোতেও, আমরা কখনো ক্ষমতার পক্ষের লোক হয়ে উঠিনি। তার দাম আমাদের চুকাতে হয়েছে আর্থিকভাবে। অর্থাভাবের সেই কঠিন দিনগুলোতেও সঠিক কাজটি করে যাওয়ার রোমাঞ্চ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে।”
কিন্তু পাঁচ বছর আগে বিষয়গুলো আরো বাজে দিকে মোড় নেয়, অথচ সেই সময় দুর্দশা কাটিয়ে ডিজিটাল সংবাদ সেবার সম্প্রসারণ ও উদ্ভাবনে আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কর্মীরা।
২০১৯ সালের অক্টোবরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ। এরপর তৎপর হয়ে ওঠে একটি মহল।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন শেয়ার হস্তান্তর আটকে দেয়, বিনিয়োগের অর্থ স্থানান্তরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা করে দুদক। নানাভাবে চাপ দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শ্বাসরোধ করার মত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়।
সেসব দিনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “ক্ষমতার রাজনৈতিক অপব্যবহার, অসত্য প্রচার, অসহিষ্ণুতা এবং সংবাদের সত্যকে মানতে না চাওয়ার সংস্কৃতি তখন তৈরি করেছে এক ভয়ের পরিবেশ। আমার তরুণ সহকর্মীরা ‘গোপন’ জায়গায় হাত দিয়ে ফেলেছিলেন, তার তাৎক্ষণিক আর তীব্র প্রতিক্রিয়া আমরা দেখেছি। আক্রমণ এসেছে চতুর্দিক থেকে। যা চূড়ান্ত পরিণতি পেয়েছে ভিত্তিহীন অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের পাঁচ বছরের তদন্তের মধ্য দিয়ে।”
কোন পরিস্থিতিতে কী পরিকল্পনা নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বিনিয়োগ চুক্তি করেছিল, সেই অর্থ কোথায় কীভাবে আছে বা ব্যয় হয়েছে, কেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী নিজের হাতে থাকা কিছু শেয়ার বিক্রি করেছেন এবং ওই চুক্তির পর কী কী ঘটেছে তার একটি বিবরণ ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মতামত কলামে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তুলে ধরেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
‘অল ফর জার্নালিজম!’ শিরোনামে ওই নিবন্ধে তিনি বলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিকাশ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া দীর্ঘদিনের ‘স্বল্প বিনিয়োগ কিংবা বিনিয়োগ খরার’ কারণে কর্মীদের অনেকের বেতন বকেয়া পড়ছিল, বেড়ে যাচ্ছিল দায়; সে কারণে কোম্পানির ৩৭ হাজার ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রতিটি শেয়ার মাত্র ১২ হাজার ৫০০ টাকায় ছেড়ে দিতে হয়েছে তাকে।
কিন্তু অনুসন্ধান, তলব এবং মামলার এজাহার- সবগুলো পর্যায়ে দুদকের লিখিত ভাষা বার বার বদলে গেছে। বিষয়টিকে ‘দুদকের গোল পোস্ট বদলের নমুনা’ হিসেবে দেখিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর একজন আইনজীবী বলেছিলেন, এটা কেবল ‘হয়রানি দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা’।
সেই প্রসঙ্গ ধরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খালিদী বলেন, “দুদক তাদের চিঠিতে অভিযোগ তুলল, আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যে অর্থের সন্ধান পেয়েছে বলে তাদের ভাষ্য, তার নাকি কোনো ঘোষিত উৎস নেই। অথচ পরের বাক্যেই তারা সেই উৎসের কথা নিজেরা লিখেছে, বলেছে যে এটা শেয়ার বিক্রির টাকা।
“দুদকের চিঠিতে টাকার ওই অংক বদলে গেছে বার বার। আমার বিরুদ্ধে তারা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তুলেছে; অথচ ওই একই চিঠিতে তারাই দেখিয়েছে, টাকা লেনদেন হয়েছে একটি বাংলাদেশি অ্যাকাউন্ট থেকে আরেকটি বাংলাদেশি অ্যাকাউন্টে, আর সেটা হয়েছে বাংলাদেশে নিবন্ধিত দুটো কোম্পানির মধ্যে চুক্তির অংশ হিসেবে। আবার আদালতে দেওয়া দুদকের সবশেষ প্রতিবেদনে আগের সব কথা থেকে সরে এসে টাকার অংক নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন তথ্য হাজির করা হয়েছে।”
দুদকের চিঠি পেয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে কমিশনে গিয়েছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক। তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে সেদিন কী কথা হয়েছিল, সে কথাও তিনি অনুষ্ঠানে বলেন।
“তিনি স্বীকার করেছিলেন, তারা কেবল উচ্চ-পর্যায়ের আদেশ অনুসরণ করছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাংবিধানিক দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার স্বাধীনতা নিয়ে কী অদ্ভুত পরিহাস!
খালিদী বলেন, “তদন্ত শেষ করার জন্য আদালত থেকে বার বার সময় নিয়েছে দুদক, তারা বলেছে, এ মামলা এমনই জটিল যে তদন্তের জন্য তাদের অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন।শেষ পর্যন্ত আমি একটি ফোন পেলাম। আমাকে বলা হল, যাদের নির্দেশে এই মামলা করা হয়েছে, তদন্ত এগিয়ে নিতে যারা বাধ্য করেছে, তারা যেহেতু আর দৃশ্যপটে নেই, এই নাটক এখন থামানো যায়।”
শেষ পর্যন্ত এ বছর সেপ্টেম্বরে সেই মামলা প্রত্যাহার করে দুদক। প্রধান সম্পাদক বলেন, “এই দুর্বিপাক আমাদের দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক ক্ষতি করে দিয়ে গেছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপলব্ধিও আমাদের হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা অদক্ষতা আর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, সে বিষয়ে সম্যক ধারণা আমরা এ যাত্রায় পেয়েছি।”
আর সেজন্য যে সবগুলো ক্ষেত্রে সংস্কার জরুরি, সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ গভীর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতায় ভুগছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাজ জনস্বার্থ রক্ষা করা, কিন্তু সেসব প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক লাভের জন্য নষ্ট করা হয়েছে। জবাবদিহিতা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের দরকার শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, যার নেতৃত্বে থাকবে দক্ষ ও পেশাদার ব্যক্তিরা।
“বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে আমরা যখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তেমনি আমরাও নিজেদের অবস্থান থেকেও জবাবদিহির জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তা হতে হবে ন্যায্য।”
গণমাধ্যম নিয়েও যে সরকারের আরো ভালো বোঝাপড়া এবং নীতি কাঠামো প্রয়োজন, সে কথাও বলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “যেমন, আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে টেলিভিশন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে যোগ্যতার বদলে রাজনৈতিক বিবেচনায়। এটা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার এক জাজ্বল্যমান নমুনা। কেবল ক্ষমতাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্যেই নয়, বরং নেতৃত্বে যারা থাকেন, তাদের সামনে গঠনমূলক বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্যও বস্তুনিষ্ঠ আর স্বাধীন গণমাধ্যম অপরিহার্য। তা না হলে ত্রুটিপূর্ণ সিদ্ধান্তগ্রহণ আর বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে ভুল ধারণা এড়ানোর উপায় কর্তৃপক্ষের থাকে না।”
র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের গ্র্যান্ড বলরুমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ আয়োজন শুরু হয় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে। প্রধান সম্পাদকের বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় নৈশভোজে।
শুরুটা হয়েছিল ২০০৫ সালের প্রথমার্ধে। অন্যান্য বার্তা সংস্থার মত ‘বিডিনিউজ’ তখন সংবাদ মাধ্যমগুলোর জন্য খবর সরবরাহ করত। দেশের অন্য সংবাদ সংস্থাগুলো টেলিপ্রিন্টারে খবর সরবরাহ করলেও বিডিনিউজ কাজটি শুরু করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
২০০৬ সালে বার্তা সংস্থাটির মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা বদলের পর এর খোল-নলচে বদলে যায়। সাংবাদিক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নেতৃত্বে নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ সংবাদমাধ্যমকে দেশের প্রথম ডটকম কোম্পানির রূপ দেয়। ২৩ অক্টোবর নতুন আঙ্গিকে শুরু হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ২৪ ঘণ্টার পথচলা। বাংলাদেশে ডিজিটাল সংবাদ যুগের সূচনা তখনই।
১৮ বছরের পথচলায় সংবাদের মোড়কে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কার্যত ইতিহাস গ্রন্থনার কাজটিই করে গেছে। নিত্য নতুন উদ্ভাবনে উন্মোচন করে গেছে নতুন নতুন সংবাদ সেবা, যে পথ ধরে এগিয়ে এসেছে আরো অনেকে।
সেসব দিনের কথা স্মরণ করে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ২৪ ঘণ্টা সচল বার্তাকক্ষের যখন যাত্রা শুরু হয়, তখন থেকেই আমি নির্ভুল আর নৈতিক ‘গেইটকিপিংকে’ আমাদের অগ্রাধিকারের সামনের কাতারে রেখেছি। সেই সঙ্কল্প রক্ষা করার মূল্যও আমাদের দিতে হয়েছে। নির্ভুল থাকার চেষ্টা অনেক ক্ষেত্রে আমাদের গতি কমিয়ে দিয়েছে, কারণ সত্যতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমরা আপস করতে চাইনি।”
প্রতিকূলতার মধ্যেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম যে কক্ষচ্যুত হয়নি, সে কথা তুলে ধরে প্রধান সম্পাদক বলেন, “কয়েক বছর আগেও আমাদের পাঠক সংখ্যা ছিল বাকি সব সংবাদমাধ্যমের মিলিত পাঠকসংখ্যার চেয়ে বেশি। এরপর আর্থিক সংকট আমাদের গতি কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে ঠিক, কিন্তু সেরাটা দেওয়ার অঙ্গীকারে আমরা আজও অবিচল।”
“সময় এখন পুনর্গঠন, মেরামত আর নবায়নের।”
আরও পড়ুন