অতিরিক্ত আর্থিক প্রবাহ না দেওয়া গেলে বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন হুমকির মুখে পড়বে, বলেন তিনি।
Published : 19 Nov 2024, 02:00 AM
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য শক্তিশালী অভিযোজন তহবিল নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি মনে করেন, অভিযোজন তহবিল বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত আর্থিক প্রবাহ না থাকলে বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন হুমকির মুখে পড়বে।
রোববার আজারবাইজানের বাকুতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ এর 'গভর্ন্যান্স ফর স্ট্রেনদেনিং এসডিজি ক্লাইমেট সিনার্জিস' শীর্ষক অধিবেশনের পর ‘ব্লু জোনে’ বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশের কথা তুলে ধরে রিজওয়ানা বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত তাপমাত্রা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় এ দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এসব প্রভাব দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর অধিকতর প্রভাব ফেলছে এবং বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
অর্থায়নের ঘাটতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি বলেন, অভিযোজন কার্যক্রমে বাংলাদেশের প্রতি বছর ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন, তবে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মাত্র তিন বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য প্রয়োজন প্রতি বছর প্রায় ৯৮ বিলিয়ন ডলার আর বৈশ্বিক অভিযোজন তহবিলের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রতি বছর ৩৬৬ বিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, “যাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ওপর আর্থিক বোঝা না পড়ে। উচ্চ সুদের ঋণ এড়িয়ে অভিযোজনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই বিনিয়োগে এই তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”