মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠন করা ট্রাইব্যুনালে এ নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়াল এক ডজনে।
Published : 19 Sep 2024, 08:29 PM
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠন করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুইটি অভিযোগ জমা পড়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন চলাকালে গুলিতে প্রাণহানির ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুটি অভিযোগ জমা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাসিত সভাপতির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে ১২টি অভিযোগ জমা পড়ল।
এতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বিচারেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়েছে।
দুটি অভিযোগের একটি জমা দেন গত ১৯ জুলাই মহাখালী ট্রাফিক বক্সের সামনে সড়কে প্রাণ হারানো শাহজাহানের খালা মাজেদা খাতুন।
তার অভিযোগে বলা হয়, শাহজাহানকে পুলিশ গুলি করে হত্যার পর, জানাজা ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে।
এতে শেখ হাসিনা ছাড়াও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩৯ জনের নাম রয়েছে।
অভিযোগকারী মাজেদা খাতুন ধোবাউড়া উপজেলার ভালুকাপাড়া গ্রামের মো. বরুজ আলীর স্ত্রী।
দ্বিতীয় অভিযোগটি করেন নিহত মো. রায়হানের বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন।
গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাড্ডা থানা রোডের মাথায় প্রাণ হারান রায়হান। ততক্ষণে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যান।
এই মামলাতেও শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নাম আছে। এতে ৭৩ জনকে আসামি করার আবেদন করা হয়েছে।
রায়হান নোয়াখালী সদরের দুর্গানগর এলাকার আমজাদ হাজির বাড়ির মো. মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার। এই ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। প্রসিকিউশনের প্রধান হয়েছেন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতাদের আইনজীবী তাজুল ইসলামকে।