গুলশানের খালে পানি নিষ্কাশন নালা ও পয়ঃবর্জ্যের পাইপ বন্ধে গত বছর অদ্ভূত এক পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় ডিএনসিসির এ মেয়রকে।
Published : 13 May 2024, 06:38 PM
পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পাইপ সরাসরি খালে ঢুকিয়ে দেওয়া সব বাড়িতে ‘কলাগাছ থেরাপি’ দিতে না পারায় ‘আক্ষেপ’ রয়ে গেছে মেয়র আতিকুল ইসলামের মনে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে চার বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার গুলশানে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা জানালেন তিনি।
সাংবাদিকরা এ অনুষ্ঠানে মেয়র হিসেবে আতিকুল ইসলামের সফলতা ও ব্যর্থতার কথা জানতে চান।
জবাবে তিনি বলেন, “পরীক্ষা যে দেয় সে কিন্তু রেজাল্ট দেয় না। আমরা পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। সফল, না ব্যর্থ সেটা আমার বলা ঠিক হবে না। এ দায়িত্ব আমি জনগণের ওপর, সাংবাদিকদের ওপর ছেড়ে দিলাম।”
মেয়র পদে চার বছর থাকা অবস্থায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেন এ মেয়র। সঙ্গে বলেন একটি বিষয়ে ‘আক্ষেপের’ কথাও।
“এমন কিছু জিনিস আছে, যেগুলো এখনও পুরোপুরি করতে পারি নাই, যেমন ‘কলাগাছ থেরাপি’। যদি প্রতিটি বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের পাইপে কলাগাছ ঢুকাইতে পারতাম তখন মনে শান্তি হইত। আমার ব্যর্থতা এখানেই। কীভাবে বারিধারা ও গুলশানের লোকেরা খালের মধ্যে বর্জ্যের লাইন দিয়ে দিচ্ছে! এটা অত্যন্ত কষ্টের বিষয় আমার কাছে।”
দায়িত্বের চার বছর পার করা মেয়র আতিক বলছেন, পদে থাকা অবস্থাতেই ঢাকার খালগুলো উদ্ধার এবং কারওয়ান বাজারের ‘বাজার ব্যবস্থা’ স্থানান্তর করে যেতে চান তিনি।
খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ দেখাতে কাউন্সিলরদের প্রতি নির্দেশের কথাও তুলে ধরেন।
কলা গাছ অভিযানে 'পাগল' করছেন মেয়র আতিক
পয়ঃবর্জ্য: মেয়র আতিকের কলাগাছ অভিযান এবার বারিধারায়
আফসোস করে আতিক বলেন, খালগুলো দূষিত হয়ে যাচ্ছে। মানুষ কীভাবে বাথটাব, টেলিভিশন, ফ্রিজ, জাজিম খালের মধ্যে ফেলে দেয়, তা তার চিন্তায় আসে না। এগুলো করলে জলাবদ্ধতা হবেই।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে জয় পান আতিকুল ইসলাম। একই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি শপথ নিলেও দায়িত্ব বুঝে পান ১৪ মে।
গুলশানের খালে পানি নিষ্কাশন নালা ও পয়ঃবর্জ্যের পাইপ লাইন বন্ধে গত বছর অদ্ভূত এক পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় মেয়রকে। ওই বছর ৪ জানুয়ারি বেশ কিছু বাড়িতে অভিযান চালান তিনি।
যেসব বাড়ি থেকে পয়ঃবর্জ্যের পাইপ খালে নিয়ে ঢোকানো হয়েছে, সেসব পাইপের বাইরের মুখ কলাগাছ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। ‘কলাগাছ থেরাপি’ হিসেবে পরিচিতি পায় মেয়র আতিকের এ কার্যক্রম।
গুলশানের মত বারিধারা, বনানী ও নিকেতন আবাসিক এলাকাতেও একইভাবে পয়ঃবর্জ্যের লাইন বিছিন্ন করার চেষ্টা চালান তিনি।
এতে ‘ফল পাচ্ছেন’ দাবি করে তখন মেয়র বলেছিলেন, “যে কয়েকটা বাড়ির সুয়ারেজ লাইনে কলাগাছ ঢুকিয়েছি, তারা এখন পাগল হয়ে গেছে।”