তিনি বিএলআরআইর সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বস দেন।
Published : 01 Dec 2024, 06:28 PM
মাংসের দাম কেন বাড়ে তার কারণ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (বিএলআরআই) নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
রোববার সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মাংস আমদানি হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। বহু বিদেশি সংস্থা আমাদেরকে কম দামে মাংস আমদানির প্রস্তাব দেয়। তাদের এই প্রস্তাবের কারণে সরকারও অনেক সময় চাপে পড়ে যায়। কিন্তু দেশেই মাংস উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
“কেবল কোরবানিকেন্দ্রিক মাংসের বাজার বিবেচনা না করে সারা বছর কী পরিমাণ মাংসের চাহিদা থাকে তা বিবেচনায় নিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। মাংসের দাম কেন বাড়ে তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে বিএলআরআইকে। দেশি জাতসমূহের উন্নয়নের মাধ্যমে বিএলআরআইকে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।”
বিএলআরআইকে গবাদিপশুর দেশীয় প্রজাতিগুলোর একটি জিন ব্যাংক উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “যেসব প্রজাতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, প্রয়োজন হলে বিএলআরআই হতে সেসব প্রাণী সংরক্ষণে রেড অ্যালার্ট জারি করতে হবে। পাশাপাশি দেশের কোন এলাকায় কোন প্রজাতির প্রাণিসম্পদ বেশি পাওয়া যায়, সে সংক্রান্ত একটি ম্যাপ প্রণয়নে বিএলআরআইকে উদ্যোগী হতে হবে।
“জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে যুগোপযোগী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আমাদের দেশীয় জাতসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারছে, সে সংক্রান্ত গবেষণা করতে হবে।
“পাশাপাশি মৌসুমভেদে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা এবং এর সাথে সাথে প্রাণীদের উৎপাদনে কী ধরনের পরিবর্তন আসছে সে সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বাজারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে।”
তিনি বিএলআরআইর সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বস দেন।
বিএলআরআইর মহাপরিচালক শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হকসহ কর্মশালায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিএলআরআইর বিজ্ঞানী, বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা অংশ নেন।