সাবেক অ্যার্টনি জেনারেল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে সৈয়দ রেফাত আহমেদকেই দেশের বিচারাঙ্গনের শীর্ষ পদে দেখতে চেয়েছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
Published : 11 Aug 2024, 01:24 PM
দেশের পঞ্চবিংশতিতম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন হাই কোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
রোববার দুপুরে বঙ্গভবনে এক অনষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে তিনি নতুন দায়িত্বের শপথ নেন।
সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পদত্যাগ করার পর শনিবার রাতে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নতুন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সাবেক অ্যার্টনি জেনারেল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে সৈয়দ রেফাত আহমেদকেই দেশের বিচারাঙ্গনের শীর্ষ পদে দেখতে চেয়েছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্যে দিয়ে এই শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর শুরু হয় শপথগ্রহণ। এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
শপথ শেষে নিয়ম অনুযায়ী শপথ বইতে সই করেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস নতুন প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান।
শপথের দিন থেকেই কার নিয়োগ কার্যকর হবে।
প্রধান বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার দুপুরে
নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ
হাই কোর্টের বিচারপতিদের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
তার বাবাও একজন খ্যাতনামা আইনজীবী; প্রয়াত সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল, যিনি পরে অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বও পালন করেন।
সৈয়দ রেফাতের মা জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক ছিলেন।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়াদাম কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী সৈয়দ রেফাত আইনজীবী হিসেবেও কাজ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসিতে মাস্টার্স ও পিএইচডিও করেছেন।
তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকা জেলা আদালতে এবং ১৯৮৬ সালে হাই কোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।