সাবেক সহকর্মী পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে।
স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যামামলায় চট্টগ্রামে কারাবন্দি বাবুলকে ঢাকায় এনে আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাবুলকে শনিবার আদালতে হাজির করে কারাগারে আটকে রাখতে ঢাকার আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমণ্ডি মডেল থানার পরিদর্শক রবিউল ইসলাম। তখন ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১০ নভেম্বর বাবুলকে একদিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ মজুমদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-প্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াছ হোসেন, বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু, বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে সড়কে ছুরিকাঘাতে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে।
সেই ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
পাঁচ বছর পর ২০২১ সালে পিবিআইর তদন্তে মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসে। এরপর আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় বাবুলকে।
সম্প্রতি মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইলিয়াছের ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রচারিত হয়। তাতে বলা হয়, মিতু হত্যামামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান। এছাড়া তাকে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছে, সাক্ষীও সাজানো হয়েছে।