আসাম পুলিশ গত বুধবার সীমান্তবর্তী ধুবড়ি থেকে দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে।
Published : 26 Mar 2024, 12:25 AM
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ভারত শাখার প্রধান হারিস ফারুকী বাংলাদেশে ছিলেন এমন খবর নাকচ করে দিয়েছেন ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান সোমবার দাবি করেন, যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের অবস্থান বাংলাদেশে ছিল না।
তিনি বলেন, “তারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার হয়েছে বা তারা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল এসব খবরের বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য যে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গির অবস্থানের কোনো পরিবেশ নেই। এখানে তাদের কোনো হাইডআউট (গোপন আস্তানা) নেই।
“আইএস সমর্থিত যে ব্যক্তির অবস্থানের কথা বলা হচ্ছে এটার স্বপক্ষে আমার মনে হয় তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ থাকলে সেগুলো তারা আমাদের জানাতে পারে। আমরা আবারও বলতে পারি বাংলাদেশে তাদের অবস্থান ছিল না।”
হিন্দুস্তান টাইমস, বিবিসি বাংলা ও পিটিআই এর বরাতে দ্যা হিন্দুর খবরে বলা হয়, গত বুধবার ২০ মার্চ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আসামের ধুবড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন হারিস ফারুকী ও তার অন্যতম সহযোগী অনুরাগ সিং ওরফে রেহান।
আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের (এসটিএফ) একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
আসাম পুলিশের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণবজ্যোতি গোস্বামির বরাতে পিটিআইয়ের ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্যা হিন্দু। এতে বলা হয়, আসামের ধুবড়ির ধর্মশালা এলাকা থেকে গোপন খবরের ভিত্তিতে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ।
এদের মধ্যে ভারত শাখার আইএস প্রধান হারিস ফারুকি ওরফে হারিশ আজমল ফারুকির বাড়ি ভারতের দেহরাদুনে। তার সহযোগী অনুরাগ সিং ওরফে রেহান পানিপথের বাসিন্দা। রেহান ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং তার স্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিক বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
পুলিশের বরাতে পিটিআই বলেছে, সহযোগী এজেন্সির গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে খবর ছিল এ দুই জঙ্গি বাংলাদেশের ক্যাম্প থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নাশকতা চালাতে ধুবড়ি এলাকা দিয়ে ভারতে ঢুকবে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ২০ মার্চ ভোর সোয়া ৪টার দিকের অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত জঙ্গিদের বাংলাদেশে অবস্থানের এ বিষয় সোমবার নাচক করে দেন সিটিটিসি প্রধান।