রাজধানীর সমস্যাগুলো সমাধানে ‘নগর সরকার’ প্রতিষ্ঠার উদ্যাগ গ্রহণসহ ৭১টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সিপিবি-বাসদ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন (কাফি রতন)।
Published : 16 Apr 2015, 08:17 PM
তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গঠনের পাশাপাশি ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হাতি প্রতীকের প্রার্থী এই বাম নেতা।
সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার অঙ্গীকার ঘোষণা করে কাফি রতন বলেছেন, “সকলের সমর্থন নিয়ে সবার জন্য বাসযোগ্য মানবিক ঢাকা গড়ে তুলতে চাই।”
২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ভোটের ইশতেহার ঘোষণা করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে তৈরি না হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেন এই মেয়র প্রার্থী।
“নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি চলছে। বিভিন্নভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা পালন করতে পারছে না।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কাফি রতনের ইশতেহার ঘোষণার এই অনুষ্ঠানে ছিলেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও বাসদের সাধারণ সম্পাদ খালেকুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এম এম আকাশও ছিলেন অনুষ্ঠানে।
কাফি রতন বলেন, নাগরিক সমস্যার সমাধান যেন সমন্বিতভাবে করা যায়, সেজন্য ‘নগর সরকার’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেবেন তিনি।
সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের সেবাগুলো সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অধীনে দেওয়া হয় বলে সমন্বয়হীনতার কারণে জনহয়রানি ঘটে। এজন্য সাবেক মেয়রদের অনেকেই নগর সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে এলেও তাতে কোনো সরকারের সায়ই পায়নি।
কাফি রতন ঢাকার যানজট নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, পয়ঃবর্জ্য ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে সব সংস্থার সমন্বিত কাজ এবং তদারকি জোরদারে জোর দেন।
হকার ও ভাসমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন সিপিবির এই নেতা।
তিনি বলেন, “আমরা চাই স্বচ্ছ ও জবাবদিহিসম্পন্ন নগর প্রশাসন ও নগর নেতৃত্ব। দরিদ্র বস্তিবাসী ও শ্রমজীবীদের জন্য নাগরিক সুবিধা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের সুযোগ-সুবিধাসহ সবার জন্য নিরাপদ নগরী গড়ে তুলতে চাই।”
দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করে যুব ইউনিয়নের সভাপতি কাফি রতন বলেন, “সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনো রকম দলবাজি ও স্বজনপ্রীতি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।”
নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করা, বাড়িভাড়া আইন-১৯৯৫ বাস্তবায়ন, বস্তি উচ্ছেদ বন্ধ করা, প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ করে পর্যাপ্ত গণপরিবহণ চালু, পাঠাগার নির্মাণ, পার্ক-বিনোদন ব্যবস্থা, বাইসাইকেল লেন চালু, পর্যাপ্ত নিরাপদ গণশৌচাগার স্থাপন এবং ই-টেন্ডার চালুর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।