নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডলকে প্রত্যাহার করে পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের পরিবার।
Published : 09 Apr 2015, 09:25 PM
বৃহস্পতিবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকার নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান মামলার বাদী ও নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।
গতকাল এ মামলায় কাউন্সিলর নূর হোসেন এবং র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে এই অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামনুর রশিদ মণ্ডল।
সাত খুনের ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী ফতুল্লা মডেল থানায় নুর হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, হাসমত আলী হাসু, আমিনুল ইসলাম রাজু, আনোয়ার হোসেন আশিক ও ইকবাল হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগপত্রে নুর হোসেন ছাড়া অপর পাঁচ জনকে বাদ দেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ না করেই অভিযোগপত্র থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। শুধু নূর হোসেনের পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাও সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানান তিনি।
আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে আদালতে নারাজি দেবেন বলেও জানান সেলিনা ইসলাম।
আলোচিত এই মামলায় একটি অদৃশ্য রাজনৈতিক শক্তির কারণে প্রভাবিত হয়ে এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম।
তদন্ত কর্মকর্তা ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডলকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে শহীদুল বলেন, ওই মামলা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের নতুন কোনো কর্মকর্তা অথবা সিআইডিকে দিয়ে পুনঃতদন্ত করা হোক।
এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মামলায় তারা জড়িত এমন কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি মামলার বাদীও তারা (এজাহারভুক্ত ওই ৫ আসামি) জড়িত বলে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ দিতে পারেননি।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয় জনের লাশ পাওয়া যায়। পরদিন পাওয়া যায় আরেকজনের লাশ।
নিহত অন্যরা হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।