বিএনপি-জামায়াত জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যেই বুধবার সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
Published : 01 Apr 2015, 10:04 AM
বাংলাদেশের দুই হাজার ৪১৯টি কেন্দ্রে আট হাজার ৩০৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী জানান, প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র এবং বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের (ডিআইবিএস) পরীক্ষা হচ্ছে।
আর কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায়) দ্বাদশ শ্রেণিতে বাংলা-২, একাদশ শ্রেণিতে বাংলা-১ (সৃজনশীল, নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-১ (সৃজনশীল, পুরাতন সিলেবাস) পরীক্ষায় বসেছেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইন কমার্সে দ্বাদশ শ্রেণিতে বাংলা-২, একাদশ শ্রেণিতে বাংলা-১ (সৃজনশীল) এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলীমে কুরআন মাজিদ (সকল বিভাগ) পরীক্ষা হচ্ছে বলে জানান ঢালী।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে টানা অবরোধ চালিয়ে আসা বিএনপি জোট ফেব্রুয়ারি ও মার্চের বেশিরভাগ সময় ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই হরতাল করে এসেছে। বুধবার হরতাল না থাকলেও অবরোধ অব্যাহত আছে।
এইচএসসি পরীক্ষার সময় অবরোধ-হরতাল থাকলেও যে কোনো মূল্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এবার আট লাখ ৮৬ হাজার ৯৩৩ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৮৪ হাজার ৩৬০ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম/ভোকেশনালে ৯৮ হাজার ২৪৭ জন এবং ডিআইবিএসে চার হাজার ৩৪৪ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
গত বছরের চেয়ে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৬৭ হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থী কমেছে।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৩ জন ছাত্র এবং পাঁচ লাখ দুই হাজার ৮৯১ জন ছাত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, ঢাকার বাইরে এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৪১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ১১০ জন ছাত্র এবং ১৩১ জন ছাত্রী।
এবারো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারছেন। এক্ষেত্রে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরতদের শ্রুতিলেখক নিযুক্ত করা যাচ্ছে।
শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী, বুদ্ধি ও শ্রবণপ্রতিবন্ধীরা অন্য সময়ের মতো এবারো অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাচ্ছেন।