হোম
+
বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ অন্তর্ধান রহস্যের জট খোলার দায়িত্ব পুলিশকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
Published : 28 Mar 2015, 01:36 PM
সালাহ উদ্দিনকে পেতে সব চেষ্টা হচ্ছে: আইজিপি
সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে এসে পুলিশ বলল রায়হানের নাম
সালাহ উদ্দিনকে ‘ফেরত’ না দিলে কঠিন পরিণতি: খালেদা
তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতাকে উদ্ধার করে সামনে এনে পুলিশকেই প্রমাণ করতে হবে যে তারা বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিবকে আটক করেনি।
সালাহ উদ্দিনকে ১৮ দিন আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে বলে তার স্ত্রী ও দলের অভিযোগের মধ্যে শনিবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
২০ দলের সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে হরতালের বার্তা দিয়ে অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতি পাঠিয়ে আসা সালাহ উদ্দিনকে গত ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় বলে তার পরিবারের অভিযোগ।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ শুরু থেকে দাবি করে আসছেণ, তার স্বামীকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে; তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
‘আন্তর্জাতিক বর্ণ বৈষম্য বিলোপ দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে মাইনরিটি রাইটস ফোরামের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সালাহ উদ্দিন অন্তর্ধানের বিষয়টি আনেন মিজানুর।
আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আপনারা ধরেন নাই বলে দাবি করছেন। বলছেন, তাকে খুঁজে বের করার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ
“বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটক করেনি তখনই বিশ্বাস করব, যখন দেখব দ্রুততম সময়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে জনসম্মুখে বা আদালতে হাজির করে পুলিশ জানিয়েছে, অমুক জায়গা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।”
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের পর্যবেক্ষণ, বাংলাদেশে যখন যে বিরোধী দলে থাকে, সে সরকারের দমন-পীড়নের স্বীকার হয়।
“যদি আপনি ক্ষমতাশীন দলের হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্য পোয়াবারো; আর যদি আপনি বিরোধী দলের হয়ে যাকেন, আপনার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ প্রতি পদে পদে হতে পারে।”
“আপনার রাজনীতি ও আপনার অবস্থানের কারণে একজন মানুষের হদিস মিলবে না, এটি কি কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে?”
লাঙ্গলবন্দে হিন্দু সম্প্রদায়ের পুণ্যস্নান অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যুর জন্য প্রশাসনের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন তিনি।
“বিশ্ব এজতেমার সময়ে কয়েক প্লাটুন র্যাব-পুলিশ সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে, নারায়ণগঞ্জেও তা হতে পারত।”
সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার ভূমি অফিসে আগুন দেওয়ার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে দাবি করে মিজানুর বলেন, “সংখ্যালঘুদের জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা যারা করে তাদের জমি বাজেয়াপ্ত করতে রাষ্ট্রকে আগ্রাসী ভূমিকা পালন করতে হবে।”
