চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী তাপস সরকার নিহতের ঘটনায় পুলিশের করা অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার ১৯ জন জামিন পেয়েছেন।
Published : 28 Jan 2015, 06:31 PM
বুধবার বিকালে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ নুরুল হুদার আদালত তাদের জামিন দেয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জামিন পাওয়া ১৯ জনের নাম অস্ত্র মামলার এজাহারে নেই।
যাদের নাম অস্ত্র মামলার এজাহারে রয়েছে, তারা কেউ জামিন পায়নি বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম জেলা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবুল হাশেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অস্ত্র মামলার ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতি (ফিজিক্যাল পজিশন) খুব গুরুত্বপূর্ণ। জামিন পাওয়া ১৯ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না জানিয়ে আবেদন করে।
তবে আসামিদের জামিন আবেদনের রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ফুল দিয়ে এসে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক দুই সংগঠন ভিএক্স ও সিএফসি।
এসময় গুলিতে নিহত হয় সংস্কৃত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাপস সরকার। নিহত তাপসকে নিজেদের কর্মী দাবি করছে সিএফসি।
এরপর শাহজালাল হলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ একটি পিস্তল, ম্যাগজিনসহ পাঁচ রাউন্ড গুলি, ম্যাগজিন ছাড়া দুই রাউন্ড গুলি, দেশে তৈরি কার্তুজ ছোড়ার একটি যন্ত্র উদ্ধার করে। তখন ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন সোমবার পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে। ওই মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়।
১৫ ডিসেম্বর তাপসের বন্ধু সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। এই মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ২০ জনে নিয়ে মোট ৫০ জনকে আসামি করা হয়।
অস্ত্র মামলার আসামিদের মধ্যে আশরাফুজ্জামান আশা, রুবেল দে, রাশেদ হোসাইন ও রায়হান হত্যা মামলারও আসামি।
আশরাফুজ্জামানকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। রুবেল, রাশেদ ও রায়হান ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার হন।
এ তিন জন ছাড়া অস্ত্র মামলায় আটক অন্যরা বুধবার জামিন পেয়েছেন।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন- রুবেল, রাশেদ, রায়হান, প্রদীপ চক্রবর্তী, আবু আহাদ অমি, জাহেদ আহমদ, রেজাউল করিম, এনামুল হাসান, আসিফ ইকবাল সাকিব, শফিকুল ইসলাম।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল বলেন, অস্ত্র মামলার আসামিদের মধ্যে যারা হত্যা মামলারও আসামি তাদের কেউ জামিন পাননি।