যুদ্ধাপরাধের মামলার আগের রায়গুলোর মতো এটিএম আজহারুল ইসলামের রায়ের পরও দুই দিনের হরতাল ডেকেছে তার দল জামায়াতে ইসলামী।
Published : 30 Dec 2014, 01:19 PM
বছরের শেষদিন বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এবং নতুন বছরের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার একই সময় পর্যন্ত তাদের এই হরতাল চলবে।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে আজহারের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ে ফাঁসির আদেশ আসার পর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে এই হরতালের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ‘সরকারের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের’ শিকার।
“আদালত সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায়, সাজানো সাক্ষীর ভিত্তিতে আজ তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের যে রায় ঘোষণা করেছেন তা একটি ন্যায়ভ্রষ্ট রায়। এ রায়ে জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।”
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটি এই রায়ের পরও যুদ্ধাপারাধের বিচারকে ‘প্রহসন’ আখ্যায়িত করেছে।
মকবুল আহমাদ বলেন, “সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে যে প্রহসনের আয়োজন করেছে, দেশে-বিদেশে তার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই।”
সরকারের ‘নিয়ন্ত্রণে’ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ পরিচালিত হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
প্রসিকিউশনের আনা ছয় অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালে আজহারের সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দিয়েছে। এর মধ্যে গণহত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে।
১৫৮ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়ার আগে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, “আমরা রায় হওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখি। বিবৃতি দিয়ে বা সহিংস হয়ে রায় পরিবর্তন করা যায় না। আইনের ভেতরে থেকে আইনের মাধ্যমে চেষ্টা করতে হয়।”
বিচারক বলেন, “দেশের ও বিদেশের কয়েকটি মিডিয়া বলছে, এখানে ধর্মীয়ে নেতাদের রায় দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা একাত্তরের অপরাধীদের বিচার করছি। তিনি কোন পর্যায়ের ইসলামিক বা ধর্মীয় নেতা সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়।”
আসামির আজকের অবস্থান আদালতের বিচারে দেখা হয় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আদালতের এই পর্যাবেক্ষণের পরও রায়ের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জামায়াতের হরতালের ঘোষণা আসে।
এর আগে এ দলটির সাত শীর্ষ নেতার রায়ের পর প্রতিবারই হরতাল ডাকা হয়েছে, সারা দেশে চালানো হয়েছে ব্যাপক সহিংসতা।