শনিবার বেলা ৩টার দিকে জিহাদকে কয়েকশ ফুট দীর্ঘ ওই পাইপের ভেতর থেকে তুলে আনার পর ঝালাই করে এর ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের মুখ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রেলওয়ে এই পাম্পটি বসালেও পানি না ওঠায় পাশেই আরেকটি গভীর নলকূপ বসানোর কাজ চালালেও আগের মুখটি ছিল খোলা, যাতে শুক্রবার বিকালে পড়ে যায় চার বছরের জিহাদ।
রেলওয়ের মহাপরিচালক তফাজ্জল হোসেন শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “সেখানে একটি নতুন ডিপ টিউবওয়েল করা হচ্ছিল। কিন্তু পুরনো ডিপ টিউবওয়েলের মুখ বন্ধ না করেই তারা কাজ করছিল।
“অথচ এ ধরনের কাজ করার সময় পরিত্যক্ত নলকূপের মুখ ঝালাই করে বন্ধ করার নিয়ম রয়েছে।”
গভীর নলকূপের সেই গর্ত, যেখান দিয়ে জিহাদ পড়ে যাওয়ার পর চলছিল উদ্ধার কার্যক্রম
জিহাদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধারের পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ওই এলাকায় রেলের জমিতে স্থাপিত বিভিন্ন দোকানপাট এবং ওয়াসার অস্থায়ী স্থাপনা ভাংচুর করে।
পরিত্যক্ত ওই গভীর নলকূপের পাইপে জিহাদের পড়ে যাওয়ার ঘটনায় রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে শুক্রবারই বরখাস্ত করা হয়।তিনি ওই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
এছাড়া কালো তালিকাভুক্ত করা হয় নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস আর হাউসকে।
বের করে আনা হচ্ছে জিহাদকে
জিহাদ ওই কূপ দিয়ে পড়ে যাওয়ার ২৩ ঘণ্টা পরেও তার অবস্থান নিশ্চিত হতে না পেরে শনিবার দুপুরে আড়াইটার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস।
তার কয়েক মিনিটের মধ্যে স্থানীয়দের চেষ্টায় পাইপের ভেতর থেকে তুলে আনা হয় জিহাদকে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নৈশ প্রহরী। স্ত্রী ও জিহাদসহ তিন সন্তান নিয়ে শাহজাহানপুর রেল কলোনির ৪১ নম্বর বিল্ডিংয়ে থাকেন তিনি।