বিএনপির আন্দোলনের হুমকির মধ্যে নয় মাসের মাথায় আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চাচ্ছে সরকার।
Published : 13 Dec 2014, 06:25 PM
আর এক্ষেত্রে যুক্তি হিসেবে মানুষের আয় ‘বাড়ার’ বিষয়টি তুলে ধরেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের বিদ্যুৎ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পক্ষে এই যুক্তি দেখান।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে আলোচনার মধ্যে এদিনই নারায়ণগঞ্জে জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষণা দেন, যেদিন জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়, তার পরদিন থেকে আন্দোলন শুরু হবে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি কাজ করছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিদ্যুতের দাম অ্যাডজাস্ট করব। মানুষের আয় বাড়ছে, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে; সাথে সাথে বিদ্যুতের দামও অ্যাডজাস্ট করতে হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিইআরসির সদস্য সেলিম মাহমুদ বিডিনিউজ টোযেন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এ মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের শুরুর দিকে শুনানি হতে পারে।”
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়েও বিইআরসি কাজ করছে বলে জানান সেলিম মাহমুদ।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই গত মার্চে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এই সরকার।
তার আগের পাঁচ বছরে খুচরা ও পাইকারি মিলিয়ে ১১ দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়।
বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভর্তুকি এখনও প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা।
অপেক্ষাকৃত বেশি মূল্যের তেলভিত্তিক ভাড়াবিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা বাড়ার পর থেকেই বারবার দাম বাড়াতে হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।