মোবারকের রায় ৯২ পৃষ্ঠার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘রাজাকার কমান্ডার’ মোবারক হোসেনের যুদ্ধাপরাধ মামলায় ৯২ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণা করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এই নেতার বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, অপহরণ ও লুটতরাজের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

রায় ঘোষণার জন্য সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামি মোবারককে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়। ঘণ্টা দেড়েক ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখার পর তাকে নিয়ে আসা হয় আদালত কক্ষে। এ সময় তাকে সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।

ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং অপর দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হক এজলাসে বসেন বেলা ১১টা ১৪ মিনিটে। এরপর ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম।

তার বক্তব্য শেষে বিচারপতি আনোয়ারুল হক ৯২ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়ে শোনানো শুরু করেন।

রায়ের জন্য মোবারককে আগের দিনই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

এই রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন প্রবেশপথে রয়েছে পুলিশ ও র্যা ব। গণমাধ্যম কর্মীদেরও ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেওয়া হয় নিরাপত্তা তল্লাশির পর।

মোবারকের যুদ্ধাপরাধের রায় সোমবার

মোবারকের ৫ ‘যুদ্ধাপরাধ’

ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় মোবারক