বদর কমান্ডার মীর কাসেমের ফাঁসির আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামে বদর বাহিনীর টর্চারসেলে নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের স্বজনরা।
Published : 02 Nov 2014, 12:40 PM
তারা এই রায়কে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, রায় বাস্তবায়ন হলেই চূড়ান্ত আনন্দ উদযাপন।
যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ রোববার একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি অভিযোগে প্রাণদণ্ড দেয়।
এছাড়া আরও আটটি অভিযোগে তাকে মোট ৭২ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে দেওয়া সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মো. এমরান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রায়ে দেশবাসীর মতো আমিও আনন্দিত।”
একাত্তরে মীর কাসেমের নেতৃত্বেই তাকে ধরে ডালিম হোটেলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছিল।
মুক্তিযোদ্ধা এমরান বলেন, “১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেরকম খুশি হয়েছিলাম, বদরপ্রধান মীর কাসেমের বিরুদ্ধে দেওয়া ফাঁসির রায়েও সেরকম খুশি হয়েছি।”
তবে রায়ের দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চান তিনি।
রায়ের পর এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, চট্টগ্রামে বদর বাহিনীর প্রধান মীর কাসেম যে নির্যাতন করেছে মৃত্যুদণ্ড দিয়েও তার শাস্তি শেষ হবে না। আপিলে এই রায় বহাল থাকবে এটাই প্রত্যাশা।
চট্টগ্রামের বদর প্রধান মীর কাসেমের ফাঁসির রায়ে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে মন্তব্য করে মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতনের পর অনেককে হত্যা করা হয়েছে তার নির্দেশে।
“ডালিম হোটেলে মীর কাসেম কর্তৃক সরাসরি নির্যাতিত হিসেবে আমি এ রায়ে আনন্দিত।”
আপিলেও ফাঁসির রায় বহাল থাকবে বলেও প্রত্যাশা করেন মীর কাসেমের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়া নাসির উদ্দিন।
একাত্তরের নভেম্বরের শেষদিকে ডালিম হোটেলে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পরবর্তীতে গণতন্ত্রী পার্টির নেতা সাইফুদ্দিন খানের শ্যালক ফয়েজ আহমেদ সিদ্দিকী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ৪৩ বছর ধরে আল্লাহর কাছে শুধু বিচার চেয়ে এসেছি।
‘‘এতো বছর পর হলেও তার বিচার হয়েছে, রায় হয়েছে। এতে আমি আনন্দিত। মীর কাসেমের হাতে নির্যাতিত ও নিহতদের আত্মা এতে শান্তি পাবে।’’
দ্রুত এ রায় বাস্তবায়ন হবে আশা প্রকাশ করেন ফয়েজ আহমেদ।