একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ে উল্লাস প্রকাশ করে শাহবাগে আনন্দ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।
Published : 02 Nov 2014, 11:33 AM
রোববার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রামের আল-বদর বাহিনীর কমান্ডার মীর কাসেমের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পরপর উল্লাস প্রকাশ করেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
পরে ইমরানের নেতৃত্বে শাহবাগ থেকে বের হয় আনন্দ মিছিল।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ১৯৮৫ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অর্থৎ মজলিসে সুরার সদস্য মীর কাসেমের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের ১৪টি অভিযোগের আটটি সন্দেহাতীতভাবে ও দুটি আংশিক প্রমাণিত হয়েছে। ওই দুটি অভিযোগেই তার ফাঁসির রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র আল-বদর বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার হিসেবে মীর কাসেম যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান, তা উঠে এসেছে এই রায়ে।
সকাল ১০টার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের দুই ফটকের মাঝে অবস্থান নেন ইমরান এইচ সরকার নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে কামাল পাশা চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের পাশে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন মঞ্চের অন্য অংশের কর্মীরা।
দুই অবস্থান থেকেই বেশ কয়েকটি মাইকে মীর কাসেমের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়া হতে থাকে।
একই দাবিতে সকাল থেকে শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ করেন জাসদ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।