এক যুগেরও বেশি সময় আগে পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন দলের তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান।
Published : 23 Oct 2014, 07:41 PM
বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ওই ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় সাক্ষ্য দেন তিনি।
বিচারক ইমরুল কায়েস তার জবানবন্দি ও আংশিক জেরা গ্রহণের পর আগামী ১৩ নভেম্বর অবশিষ্ট জেরার জন্য দিন রাখেন।
ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় আগামী ৬ নভেম্বর একই আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে সিপিবির উপদেষ্টামণ্ডলীর এই সদস্যের।
হরকাতুল জিহাদ, জেএমবির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলারই বাদী তিনি।
সিপিবির আরো কয়েকজন নেতা-কর্মী সাক্ষ্য দিতে এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির থাকলেও সময়ের অভাবে তাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়নি।
এ মামলায় গত ৪ সেপ্টেম্বর হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে সমাবেশে ওই হামলায় পাঁচজন নিহত হন, আহত হয়েছিলেন অনেকে।
নিহতরা হলেন- খুলনার বটিয়াঘাটার হিমাংশু মণ্ডল, খুলনার রূপসা উপজেলার আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরার আবুল হাসেম, মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন এবং খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস।
ওই হামলায় মামলা হওয়ার পর ১৩ বছর পর গত বছর ২৭ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মৃণাল কান্তি সাহা ১৩ আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
পলাতক আসামিরা হলেন- আব্দুল হাই, শফিকুর রহমান, নুর ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, মুহিবুল্লাহ মুত্তাকীন, আনিসুল ইসলাম মোরসালীন, রফিকুল ইসলাম মিরাজ।
আসামিদের মধ্যে মাইনুদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী করা হয়েছে ১০৭ জনকে।
হামলার পরপরই মঞ্জুরুল আহসান খান মতিঝিল থানায মামলা করার দুই বছর পর ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোমিন হোসেন। তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে সে সময় আদালতে বলেছিলেন তিনি।
এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগসূত্র পেয়ে ২০০৫ সালে আবার মামলার তদন্ত শুরু হয়। সাত তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে অবশেষে গত বছর নভেম্বরে অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়ে।
এ মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নান ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা এবং রমনায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলারও আসামি।