উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আলোচিত হিমাদ্রী মজুমদার হিমু হত্যা মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।
Published : 27 Aug 2014, 08:51 PM
বুধবার চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজা তারিক আহমদের আদালতে মামলাটির শুনানি হয়।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আইয়ুব খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার মাদক বিরোধী সংগঠন ‘শিকড়ে’র সাধারণ সম্পাদক জাওয়াদ আলী চৌধুরীকে আসামির আইনজীবীরা জেরা করেছেন।
“আদালত আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।”
ওই স্থগিতাদেশের অনুলিপি ৪ অগাস্ট চট্টগ্রাম আদালতে পৌঁছালে মামলাটির বিচার কাজ থেমে যায়।
এরপর ৭ অগাস্ট ছয় মাসের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে উচ্চ আদালতের একই বেঞ্চ।
ওই আদেশের অনুলিপি ১৮ অগাস্ট চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট আদালতে এসে পৌঁছায়।
এরপর ২৪ অগাস্ট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে জামিনে থাকা মামলার দুই আসামি হাজিরা দেন। ওই দিন শুনানির জন্য ২৭ অগাস্ট দিন ধার্য করা হয়।
গত ১৫ জুলাই হিমু হত্যা মামলা চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে এ মামলা চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শহীদুল ইসলামের আদালতে বিচারাধীন ছিল।
২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল বন্দর নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় শাহ সেলিম টিপুর বাড়ির ছাদ থেকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয় হিমুকে। আহত হয়ে ২৬ দিন চিকিৎসার পর ২৩ মে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় হিমুর মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পুলিশ ওই পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
মামলার এক মাস পর শাহাদাত হোসেন সাজু এবং ওই বছরই শাহ সেলিম টিপু ও জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ আদালতে আত্মসমর্পন করেণ। পরে তিনজনই জামিন পেয়ে যান।
অভিযোগ গঠনের শুনানি চারবার পিছিয়ে এ বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেয়ার পর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ, তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।
চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ছয় জন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।