নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে উপজেলা পরিষদে সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 04 Jun 2014, 11:29 AM
কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সোমবার কমিশনের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরই মধ্যে একটি কার্যপত্রও তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। আসন্ন রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করারও প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে প্রথম ধাপে শতাধিক উপজেলার বিষেয়ে কাজ এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইসি।
স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ-১৯৯৮) আইনের ৬ ধারায় ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচন করার বিধান আছে।
অর্থাৎ বিধিমালা অনুযায়ী- ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য এবং পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করবেন। আর এই সদস্যদের সংখ্যা হবে উপজেলায় ইউনিয়ন ও পৌরসভার মোট নারী সদস্যের এক তৃতীয়াংশের সমান।
এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে উপজেলা পরিষদে নারী সদস্য দিতে না পারলেও বর্তমান কমিশন গত বছরের ১৫ ও ২৬ মে উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সীমানা নির্ধারণ করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দুটি চিঠি দেয়।
গত মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে উপজেলার সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনের বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক অনুরোধ (ইইউ নোট) জানান জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক। এর পরই নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কমিশনের সভায় উপস্থাপনের জন্য এ বিষয়ে একটি কার্যপত্র তৈরি করে।
কার্যপত্রে বলা হয়েছে, “দেশের ৪৮৭টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ৪৭১টি উপজেলায়। এরমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সীমানা নির্ধারণের গেজেট পাওয়া গেছে ১২৭টি উপজেলায়। এসব উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা আসনের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও মুদ্রনের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে।”
পর্যায়ক্রমে বাকি সাড়ে ৩০০ উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ও এলাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে পুনরায় অনুরোধ করতে হবে। এসব কাজ এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে তাগিদ দেবে সাংবিধানিক এ সংস্থা।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনে সংশোধনীও এসেছে বিদ্যমান বিধিমালায়। সীমানা সংক্রান্ত গেজেট পেলে ধাপে ধাপে উপজেলা ভোট হওয়ায় নারী সদস্যরে ভোটও ধাপে ধাপে করা যেতে পারে।
কমিশনের উপ-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা) রকিব উদ্দিন মণ্ডল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগের সহায়তাও লাগবে। ইসির নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেয়া হবে।”
সীমানা বিন্যাসের কাজ শেষ হলে সারা দেশে সহস্রাধিক নারী প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।