নারায়ণগঞ্জে সাতখুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের অবস্থান জানা সত্ত্বেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি দাবি করে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়েছেন সাংসদ শামীম ওসমান।
Published : 24 May 2014, 11:52 PM
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যে গোয়েন্দা সংস্থা অডিও টেপ ছেড়েছে, তারা তার অবস্থান জানার পরেও কেন নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার করলো না? তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।”
পলাতক নূর হোসেনের সঙ্গে শামীম ওসমানের মোবাইল কথোপকথন তুলে ধরে শুক্রবার দৈনিক প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যাতে বলা হয় নূর হোসেনকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য।
এর প্রেক্ষিতে রাতে গুলশানে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে শামীম ওসমান বলেন, “যে অডিও টেপের ভিত্তিতে পত্রিকায় প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে তা একটি গোয়েন্দা সংস্থা সরবরাহ করেছে।”
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করার দুদিন পর ২৯ এপ্রিল রাতে নূর হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন শামীম ওসমান।
সে সময় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থান করছিলেন নূর হোসেন। তার আগেরদিন তিনি ছিলেন শুলশানে।
নূর হোসেনের সঙ্গে কথোপকথন সম্পর্কে শামীম বলেন, “নজরুলসহ সাতজনকে অপহরণের পর স্থানীয় পুলিশ আমাকে বলেছিল, নূর হোসেন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
“আপনি তাকে কৌশলে আদালতে আত্মসর্মপণ করানোর চেষ্টা করবেন। নূর হোসেনের সঙ্গে আমার একাধিকবার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে।”
নজরুলসহ সাতজন অপহৃত হওয়ার পরপরই এ ঘটনায় নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা হয়। এরপরেও ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি।
তবে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে অপহৃতদের লাশ ভেসে ওঠার পর তার আর কোনো হদিস মেলেনি।