ফোনালাপের কথা স্বীকার, জীবন নিয়ে শঙ্কা শামীম ওসমানের

নারায়ণগঞ্জে সাতখুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনের সঙ্গে ফোনালাপের কথা স্বীকার করেছেন সাংসদ শামীম ওসমান। একইসঙ্গে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2014, 02:23 PM
Updated : 23 May 2014, 09:43 PM

নারায়ণগঞ্জে তার বিরোধিতা করে আসা নাগরিক আন্দোলনের নেতা রফিউর রাব্বির জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শামীম। তাকে নিরাপত্তা দেয়ারও দাবি জানান তিনি।

শুক্রবার গুলশানে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে শামীম বলেন, কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হওয়ার পর নূর হোসেনের সঙ্গে তার টেলিফোনে কথা হয়েছে।

“তবে প্রথম আলোয় যেটা ছাপা হয়েছে সেটা আংশিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।”

ওই অডিওটি গোয়েন্দা সংস্থার বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, “যারা টেপটি ছেড়েছে তারা নিজেরা বাঁচার জন্য এটা করেছে। কাল আমি বাঁচবো কি না জানি না।”

নূর হোসেনের সঙ্গে তার কথোপকথন রেকর্ড করার সময় কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি সে প্রশ্ন তুলে র‌্যাবের দিকে ঈঙ্গিত করে শামীম বলেন, “উনারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। আমাদের কথা রেকর্ড করে ছেড়ে দেন। তাহলে তারা যখন নূর হোসেন কোথায় আছে ডিটেক্ট করতে পারলো, তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো না।”

সাতখুনের ঘটনায় র‌্যাবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সামনে আনলে তাকে হুমকি দেয়া হয়েছিল দাবি করে আলোচিত এই সংসদ সদস্য বলেন, “র‌্যাবের মেজর পর্যায়ের এক কর্মকর্তা আমাকে টেলিফোনে বলেন, আমি না বাঁচলে আপনিও বাঁচবেন না।

“আমি ফোনে পাল্টা প্রশ্ন করি, হোয়াট? সে বলে, আমরা না বাঁচলে আপনারাও বাঁচবেন না।”

শুক্রবার দৈনিক প্রথম আলোয় নূর হোসেনের সঙ্গে শামীম ওসমানের টেলিফোন কথোপকথন তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়, “নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ ও খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান।”

গত ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুলসহ সাতজন অপহৃত হওয়ার দুদিন পর ২৯ এপ্রিল রাতে নূর হোসেন ও শামীম ওসমানের মধ্যে ফোনে কথা হয় বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

নজরুলসহ সাতজন অপহৃত হওয়ার পরপরই এ ঘটনায় নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা হয়। এরপরেও ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি।

তবে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে অপহৃতদের লাশ ভেসে ওঠার পর তার আর কোনো হদিস মেলেনি।