উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সর্বাত্মক হরতালে অচল ছিল ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা।
Published : 22 May 2014, 11:51 AM
স্থানীয় আওয়ামী লীগের ডাকা বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যার এই হরতালে ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীদেরও পিকেটিংয়ে দেখা যায়।
সেই সঙ্গে হরতালকারীদের মিছিল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে।
মঙ্গলবার ফেনী শহরে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর পর গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয় একরামকে। বুধবার দাফনের আগে জানাজায় হরতালের ঘোষণা দেন ফুলগাজী আওয়ামী লীগের নেতারা।
ফুলগাজী থানার এসআই শাহ আলম সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
সকাল থেকেই উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা সদরে পিকেটিংয়ে নামে।
যুবদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মীদের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিংয়ে দেখা গেলেও নেতাদের দেখা যায়নি।
ফুলগাজী বাজার, নতুন মুন্সির হাট ও পুরাতন মুন্সির হাট বাজারসহ একাধিক স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। বিভিন্ন স্থানে খড়কুটো জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে পিকেটাররা।
একরামের খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম।
এই হত্যাকাণ্ডের পর একরামের ভাইয়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা মাহতাব মিনারকে আসামি করা হলেও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন দলের একদল কর্মী।
এই পরিস্থিতিতে নিজাম হাজারী বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, আওয়ামী লীগে ভাঙন ধরাতে তার বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ চলছে।
এদিকে ফেনী মডেল থানার ওসি মাহবুব মোর্শেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ২৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছয়জন বাদে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এই ছয়জনের মধ্যে দুজনকে হত্যা মামলায় এবং বাকি চারজনকে অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।