দেশের সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হাই কোর্টে রিট হয়েছে।
Published : 21 May 2014, 03:12 PM
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির ও আজম খান রিট দুটি দায়ের করেন। লিগ্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশের পক্ষে ফরিদ আহমেদ রিটে বাদী হিসাবে রয়েছেন।
২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের ৭ ও ১৫ ধারা অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ গঠনে খাদ্য সচিবকে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানাতে রুল চাওয়া হয়।
রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় সাত দিনের মধ্যে একটি স্বাধীন ‘ইনকোয়ারি’ কমিটি করতে আইন সচিবের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এছাড়া নিরাপদ খাদ্য আইন বাস্তবায়ন না হওয়ার মূল কারণগুলো বের করে এনে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে ওই কমিটির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রুল বিচারাধীন থাকাকালে দেশের বিভিন্ন শহর ও মহানগরগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে স্বরাষ্ট্র সচিব, বিএসটিআইর পরিচালক, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র্যাব মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারকে নির্দেশনা দিতে আর্জিতে বলা হয়।
রিটে বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, শিল্প সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিএসটিআইর পরিচালক, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র্যাব মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণে ‘কেন্দ্রীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা করার কথাও আইনের ৫ ও ৭ ধারায় বলা হয়।
‘সাবধান! সব খাবারে ভেজাল/তদারকি নেই বাজার, আইন আছে প্রয়োগ নেই’ শিরোনামে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
এতে বলা হয়, খাদ্যপণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে তা রান্না করার প্রক্রিয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই ক্রেতার অজান্তে ভেজাল মিশে যাচ্ছে। অসাধু চক্র ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নিয়ে দিনের পর দিন ঠকাচ্ছেন।
“সবজিতে এখন যেমন মেশানো হচ্ছে ফরমালিন, তেমনি হোটেলে রান্না করা মুরগিটিও ভালো নয়। ক্রেতাকে মরা মুরগি (অসুস্থতার কারণে মৃত) গছিয়ে দিয়ে টাকাই আদায় করছেন হোটেল মালিকরা। এমনকি ঘরে ঘরে গৃহিণীরাও খাবার সুস্বাদু করতে যেসব মসলা ব্যবহার করছেন, তাতে দেওয়া হচ্ছে ইট-কাঠসহ নানা রকম কেমিক্যাল রং।”