নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় নূর হোসেনসহআসামিদের পালানো ঠেকাতে বেনাপোল চেকপোস্টে নজরদারি রাখছে ইমিগ্রেশন পুলিশ, সতর্কাবস্থায় রয়েছে বিজিবিও।
Published : 05 May 2014, 07:19 PM
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ‘সেভেন মার্ডার’ মামলার আসামি, কালো তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও অভিযুক্ত জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী যাতে দেশ ত্যাগ না করতে পারে, সেজন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।”
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
এই ঘটনার মূল সন্দেহভাজন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সিটি কাউন্সিলর নূর হোসেন পলাতক। তার বাড়িতে পুলিশি অভিযানে ১২ জনকে আটক করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
যাত্রীদের গতিবিধির উপর নজর রাখার সঙ্গে তাদের পাসপোর্ট ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেশ ত্যাগের অনুমতি দিতে দেখা গেছে ইমিগ্রেশন পুলিশকে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পার হওয়া যাত্রীদের ওপর ইমিগ্রেশন পুলিশের পাশাপাশি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যদেরকেও লক্ষ্য রাখতে দেখা গেছে।
কোনো ধরনের সন্দেহ হলে নোম্যান্সল্যান্ডে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
খুনের আসামিরা যাতে পালাতে না পারে সে জন্য বিজিবি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে বলে জানিয়েলেন ২৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মতিউর রহমান।
“সীমান্তের অবৈধ চলাচলের ঘাটগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এসব চোরাপথ দিয়ে যাতে কেউ সীমান্ত পার হতে না পারে বিজিবিকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”