হজের সময় বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে আটটি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করেছে সরকার। এছাড়া স্থগিত করা হয়েছে ৪৩টি এজেন্সির লাইসেন্স।
Published : 24 Apr 2014, 11:32 AM
বাতিল, স্থগিত ও জরিমানাসহ মোট ২০৮টি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান।
তিনি জানান, এসব হজ এজেন্সির অনিয়ম তদন্তে ধর্ম মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সচিব বলেন, “২১৭টি হজ এজন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।”
অপরাধের ধরন অনুয়ায়ী সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা করে ৫টি, চার লাখ টাকা করে ৫টি, তিন লাখ টাকা করে ১৭টি, আড়াই লাখ টাকা করে ৯টি, দেড় লাখ টাকা করে ১২১টি হজ এজেন্সিকে জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া ‘জানুস ট্রাভেল অ্যান্ড টুরসের’ ৫২ জন হজযাত্রা ফিরে আসেনি। তাই তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ ১ কোটি চার লাখ টাকা জারিমানা করা হয়েছে।
‘দা ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলসের ৭৪ জন হজযাত্রী হজে গিয়ে ফিরে না আসায় প্রতিষ্ঠানটির হজ লাইসেন্স বাতিলসহ এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গত বছর হজ করতে ৮৭ হাজার ৮৫৪ জন সৌদি আরব যান। ৬২৮টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে তারা হজ পালন করেন।
২০১৩ সালের হজ মৌসুমে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে এ সংক্রান্ত কমিটি গত ৪ থেকে ৬ এপ্রিল অভিযুক্ত হজ এজেন্সিগুলোকে শুনানিতে ডাকে।
এর মধ্যে ৪ এপ্রিল ৬৫টি, ৫ এপ্রিল ৬১টি এবং ৬ এপ্রিল ৬৭টি এজেন্সি তদন্ত কমিটির শুনানিতে অংশ নেয়।
সচিব বলেন, “অভিযুক্ত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে হজের নামে মানুষ পাচার, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হাজিদের বাড়িতে না রাখা, যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা না করা, একই কক্ষে গাদাগাদি করে অবস্থান, পর্যাপ্ত গাইড না রাখা এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।”