বাগেরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া অপর দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
Published : 09 Mar 2014, 03:54 PM
রোববার বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ এসএম সোলায়মান এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া গ্রামের প্রয়াত মতু হাওলাদারের ছেলে ফুলমিয়া হাওলাদার এবং একই গ্রামের মফেজ মল্লিকের ছেলে শহিদুল মল্লিক।
যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন আলী আকবর ও মনিরুজ্জামান। এদের বিশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শেখ মোহম্মদ আলী বলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া গ্রামের ফুলমিয়া হাওলাদারের সঙ্গে প্রতিবেশী এলাল উদ্দিনের জমি নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। ওই জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ১৯৯৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে আসামি ফুলমিয়া হওলাদারসহ ২-৩ জন দুর্বৃত্ত প্রতিবেশী এলাল উদ্দিনের বাড়ি আসে।
ফুলমিয়া এলাল উদ্দিনের স্কুল পড়ুয়া ছেলে বাদলের ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে।
ধস্তাধস্তির শব্দ পেয়ে নিহতের বাবা এলাল ও মা তানজিরা বেগমের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন তারা দুজন উঠে বাইরে এসে দেখে ফুলমিয়াসহ ২-৩ জন বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল। পরে তারা বাদলের ঘরে গিয়ে দেখে তার জবাই করা লাশ দেখেন।
পরদিন বিকালে নিহতের বাবা এলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ফুলমিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০১ সালের ১৯ মার্চ ফুলমিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি শেখ মোহম্মদ আলী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন গোলাম মোর্তুজা সোহেল আহমেদ।