চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদকে ‘লাঞ্ছিত’ করা ও তার ওপর হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ।
Published : 01 Feb 2014, 09:02 PM
মামলায় প্রায় একশ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ওসি মো. শাহজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার রাতে সাংসদ আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর ওপর হামলার ঘটনায় হত্যা চেষ্টা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
“এতে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করছি না। অভিযানের পর এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।”
গত শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের শাহ মঞ্জিলের ১৯ দিনব্যাপী সিরাতুন্নবী মাহফিলের সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যান সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী।
অনুষ্ঠানে সাংসদ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে বক্তব্য রাখতে শুরু করলে তাকে লক্ষ্য করে জুতা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা।
এসময় মাহফিলে উপস্থিত কয়েকজন স্থানীয় ধর্মীয় নেতাও ‘লাঞ্ছিত’ হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরে আয়োজকদের সহযোগিতায় সংলগ্ন মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেন সাংসদ। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করে।
পরে রাত ১২টার দিকে সাংসদকে উদ্ধার করে পুলিশ।
লোহাগাড়া থানার ওসি মো. শাহজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জামায়াত-শিবির কর্মীরা সাংসদের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ সাংসদকে উদ্ধারে গেলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পুলিশের ওপরও হামলা চালায়।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হন নদভী।
তবে অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে তার দৃশ্যমান কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। নির্বাচনের আগে ও পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ঘিরে সাতকানিয়ায় একাধিক সহিংতার ঘটনা ঘটেছে।