জনস্বাস্থ্য, পয়ঃনিষ্কাশন ও কৃষিখাতের চিত্রে সামান্য উন্নতি হলেও বায়ুদূষণের দিক দিয়ে বিশ্বের ১৭৮টি দেশের মধ্যে সবচে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
Published : 29 Jan 2014, 02:37 PM
পরিবেশ ও জীবনমানের ওপর এর প্রভাব নিয়ে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রতি বছর যে বৈশ্বিক সূচক প্রকাশ করেন, তাতে সবচেয়ে দূষিত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম।
গত সোমবার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্স ২০১৪’ অনুযায়ী, বিশ্বের ১৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৯ নম্বরে।
জনস্বাস্থ্যের ওপর দূষণের প্রভাব, বায়ুর মান, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন, পানিসম্পদ, কৃষি, বনায়ন, মৎস্য সম্পদ, জীববৈচিত্র ও বাসস্থান এবং আবহাওয়া ও জ্বালানি- এই আট বিষয় বিবেচনা করে ১০০ স্কেলে বাংলাদেশের স্কোর ২৫ দশমিক ৬১।
আর কেবল বায়ু দূষণের কথা বিবেচনা করলে বাংলাদেশের স্কোর ১০০ এর মধ্যে মাত্র ১৩ দশমিক ৮৩। আর অবস্থান সবার শেষে, অর্থাৎ ১৭৮ নম্বরে।
গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্সে ১৫ দশমিক ৪৭ স্কোর নিয়ে সোমালিয়া আছে সবার শেষে, অর্থাৎ ১৭৮ নম্বরে। আর পরিবেশের বিচারে ‘সবচেয়ে ভাল দেশ’ সুইজারল্যান্ডের স্কোর ৮৭ দশমিক ৬৭।
২০১২ সালের সূচকেও বাংলাদেশ একই স্কোর নিয়ে একই অবস্থানে ছিল। তবে ইয়েলের এই সূচক চালুর প্রথম বছর ২০০২ সালে ২৪ দশমিক ৬৩ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ছিল ১৬৬ নম্বরে। ওই বছর বায়ু দূষণে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল তালিকার ১৭৪ নম্বরে, যা এখনকার চেয়ে ভাল।
এই হিসেবে গত এক যুগে দূষণ ও পরিবেশের বিচারে বাংলাদেশ পিছিয়েছে।
এবারের তালিকার তলানিতে থাকা সবচেয়ে বেশি দূষণের নয় দেশ হলো - সোমালিয়া (১৫ দশমিক ৪৭), মালি (১৮ দশমিক ৪৩), হাইতি (১৯ দশমিক ০১), লেসোথো (২০ দশমিক ৮১), আফগানিস্তান (২১ দশমিক ৫৭), সিয়েরা লিওন (২১ দশমিক ৭৪), লাইবেরিয়া (২৩ দশমিক ৯৫), সুদান (২৪ দশমিক ৬৪) ও ডি আর কঙ্গো (২৫ দশমিক ০১)।
তালিকায় এরপরই বাংলাদেশের অবস্থান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে খারাপ দশায় থাকা এই দেশগুলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্দশার মধ্যে থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই পরিবেশের বিষয়গুলো পাশ কাটিয়ে যায়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই সূচকে সবচেয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৫৩ দশমিক ৮৮ স্কোর নিয়ে দেশটির অবস্থান তালিকার ৬৯ নম্বরে।