নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী দশম সংসদের সদস্য হিসেবে ২৮৯ জনের শপথ নেয়ার কথা থাকলেও এদের মধ্যে পাঁচজন বৃহস্পতিবার শপথ নেননি।
Published : 09 Jan 2014, 04:14 PM
পাঁচজনের মধ্যে রংপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ‘অসুস্থতার’ কারণে সিএমএইচে থাকায় শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।
এরশাদের স্ত্রী জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা এদিন শপথ নেন।
অবশ্য শপথের পর জাপার একাধিক নেতা জানিয়েছেন, যে কোনো সময় শপথ নিতে পারেন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর নাটকীয়ভাবে হাসপাতালে থাকা এরশাদ।
রওশন বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তারা যা করছেন, তা এরশাদের সম্মতি নিয়েই এবং এরশাদও শপথ নেবেন।
তবে বৃহস্পতিবার শপথ নেয়ার পর এরশাদের শপথ নেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে রওশন বলেন, “চেয়ারম্যানের কথা চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাস করেন।”
বৃহস্পতিবার শপথ না নেয়া অন্যরা হলেন, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন, ঢাকা-৯ আসনের সাবের হোসেন চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির নাসিম ওসমান ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে জাসদের মঈনুদ্দিন খান বাদল।
দেশের বাইরে থাকায় তারা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়।
গত সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বর্জনের মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি ভোট হওয়ার পর বুধবার নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ২৯০ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দুটি আসন থেকে জয়ী হওয়ায় রংপুর-৬ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ হিসাবে শপথ নেয়ার কথা ছিল ২৮৯ জনের।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ছয় বারে নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ পড়ান।
রেওয়াজ অনুযায়ী প্রথমেই শপথ নেন সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের সদস্যরা। এরপর প্রথম দফায় বাদ পড়া দলটির অন্য সদস্যদের শপথ পড়ান স্পিকার। পরে পর্যায়ক্রমে অন্য দল ও স্বতন্ত্র সদস্যরা শপথ নেন।