নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকার পাশাপাশি দশম জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায়ও থাকতে চায় জাতীয় পার্টি।
Published : 09 Jan 2014, 01:17 PM
বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ ভবনে দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের স্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদের নেতৃত্বে শপথ নেন জাতীয় পার্টির সাংসদরা।
এরপর জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা দলের এই অবস্থান জানান।
দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, “আমরা সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকছি আবার বিরোধী দলেও থাকছি। এটা জাতীয় ঐকমত্যের সরকার হবে।”
দলের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠকে রওশন এরশাদকে নেতা নির্বাচন করা হয়েছে। অন্য কেউ হতে চাইলেও তা কার্যকর হবে না।
তাই দশম সংসদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনপ্রাপ্ত জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের নেতা রওশনই সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হতে চলেছেন।
সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকার বিষয়ে চুন্নু বলেন, “এ বিষয়ে কোনো লিখিত সিদ্ধান্ত হয় না। তবে একইসঙ্গে মন্ত্রিসভায় ও বিরোধী দলে থাকার পক্ষে আমাদের বেশিরভাগ সাংসদ মত দিয়েছেন।”
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, দশম সংসদে নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নবম সংসদের কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেছে।
“ভোটের গেজেট হওয়ার সাথে সাথে আগের সংসদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর থাকবে না। সেক্ষেত্রে আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন অধিবেশন বসবে।”
শপথের পর বেলা ১টার দিকে সংসদ ভবন থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পার্টির এই নেতা।
আগামীতে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য যাতে আর না হয় সে বিষয়ে নতুন সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের বর্জনের মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের ভোট হয়। এ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে অবরোধ করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল।
এ পরিস্থিতিতে নবনির্বাচিতদের অনেকেই বর্তমান সংসদের মেয়াদ পূরণের পক্ষে কথা বললেও কেউ কেউ রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে জাতীয় পার্টির নেতা ফিরোজ রশীদ বলেন, “এই বিষয়টি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আলোচনার উপর নির্ভর করবে।”
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ কবে শপথ নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আজ বিকেলে বা যে কোনো সময় তিনি শপথ নিতে পারেন।”
নির্বাচনে নিজের ও দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর হঠাৎ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন এরশাদ। এরপর গত ১২ ডিসেম্বর রাতে র্যাবের পাহারায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরশাদ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে একটি আসনে তিনি জিতলেও আরেকটিতে পরাজিত হন।
বৃহস্পতিবার তার অনুপস্থিতিতে নবনির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। তবে পার্টি প্রধানের শপথ গ্রহণ নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি কেউ।