দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছে দশম জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ। আর প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সাংসদরা।
Published : 09 Jan 2014, 01:34 PM
বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ অনুষ্ঠানের পর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
আওয়ামী লীগের সাংসদরা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকাল সোয়া ১০টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে শপথ নেন। রওশনের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির সাংসদরা শপথ নেন এর এক ঘণ্টা পর। তবে পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন না।
শপথের পর সংসদ ভবনেই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্যদের বৈঠক বসে।
বৈঠকের পর একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সভায় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে।
গাজীপুরের সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেল জানান, বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সংসদীয় দলের নেতা ও সংসদ নেতা হিসাবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। তাকে সমর্থন করেন নবম সংসদের প্রধান হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুশ শহীদ।
পরে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকেই সংসদ নেতা নির্বাচতি করা হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, শেখ হাসিনা দুয়েক দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানালেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
নবম সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবার সংসদে না থাকলেও অধিবেশন প্রাণবন্ত হবে বলেই নাসিমের বিশ্বাস।
বিএনপি ও তাদের শরিকদের বর্জনের মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের ভোট হয়, যাতে ২৩১টি আসনে জয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আর জাতীয় পার্টি পেয়েছে ৩৩টি আসন।
জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠকের পর দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, তারাও সর্বসম্মতভাবে রওশন এরশাদকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছেন।
“এটা সংসদীয় দলের সর্বসম্মত লিখিত সিদ্ধান্ত। অন্য কেউ চাইলেও বিরোধী দলীয় নেতা হতে পারবেন না।”
জাতীয় পার্টি সরকারে থাকবে না বিরোধী দলে যাবে- এমন প্রশ্নে নির্বাচনকালীন সরকারের এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে তো সভায় লিখিত সিদ্ধান্ত হয় না। তবে আমরা সরকার ও বিরোধী দল- দুই দায়িত্বেই থাকতে চাই। দলের ভেতরে এই মতই বেশি।”