রাজনৈতিক মতানৈক্যের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগে নাশকতার আগুনে পুড়েছে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেগুলো ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের কথা।
Published : 04 Jan 2014, 08:28 AM
রোববারের ভোট বর্জনের পর তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের হরতাল ডাকার আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভোট কেন্দ্র তথা বিদ্যালয়ে আগুন দেয়া শুরু হয়।
এরপর শনিবার দুপুর পর্যন্ত তা শতাধিক ছাড়িয়ে যায় জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অগ্নিসংযোগ প্রতিরোধে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্র বা বিদ্যালয়গুলোতে অগ্নিসংযোগ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
কয়েকটি কেন্দ্রে পুলিশের উপস্থিতির কারণে আগুন দেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
অগ্নিসংযোগের এই ঘটনার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছে পুলিশ। তবে অধিকাংশ স্থানেই এর সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বিএনপি-জামায়াত জোটের দিকে ইঙ্গিত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, “স্কুলগুলোতে আগুন দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মধ্য দিয়ে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়।”
বিরোধী দলবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে রোববার ভোটগ্রহণ চলবে। ৩০০ আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৭০৭টি। তবে ১৫৩ আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ১৪৭ আসনের কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে ফেনীর দাগনভূইঞায় সাতটি বিদ্যালয় পুড়িয়ে দেয়ার পর শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে ১১টি এবং টাঙ্গাইল, বরগুনা, রংপুর ও রাজশাহীতে চারটি করে ভোট কেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়।
গত ৩৬ ঘণ্টায় ৬৭টি কেন্দ্র পুড়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি ভোট কেন্দ্রে মল ছিটানোর ঘটনাও ঘটেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
লক্ষ্মীপুর: রামগঞ্জ ও কমলনগর উপজেলায় ১১টি ভোট কেন্দ্রে রাতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রামগঞ্জে ছয়টি ও কমলনগরে পাঁচটিতে আগুন দেয়া হয়।
কমলনগরের কেন্দ্রগুলো হলো, হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমি, বৃন্দাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর-পশ্চিম চর জাঙ্গালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম চর মাখিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আউয়াল হোসেন ক্লিনিক।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দুটি কেন্দ্রে আগুনের ঘটনা নিশ্চিত করেন। বাকি কেন্দ্রের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
এছাড়া রামগঞ্জ উপজেলায় ‘রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, ‘গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, ‘হরিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, ‘শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, ‘ধর্মপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ ‘কাওলীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ আগুন দেয়া হয়।
ভোটকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাবাসীরা জানায়, আগুনে স্কুলগুলোর আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
রসুলপুর ও শ্যামপুরের দুটি কেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়েছে নিশ্চিত করে রামগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল করিম ভুইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অন্য কেন্দ্রগুলোতে আগুন দেয়ার খবর শুনেছি।
সাতক্ষীরা: শনিবার দিনের বেলায়ও সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোদাঘাটা গ্রামের গোদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনিরুজ্জামান জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা আগুন দিলে গোদাঘাট ভোটকেন্দ্রের দরজা-জানালা পুড়ে যায়। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় শিবিরের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।
পাবনা: সাঁথিয়া উপজেলার সামান্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকালে দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়টির জানালা দিয়ে পেট্রোল দিয়ে দুটি কক্ষে আগুন দেয়। আগুনে কক্ষ দুটির চেয়ার-বেঞ্চ পুড়ে যায়। গ্রামবাসী দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে।
সাঁথিয়া থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বগুড়া: গাবতলী ও নন্দিগ্রাম উপজেলায় তিনটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
জেলা নির্বাচন অফিসার ইউনুচ আলী জানান, বগুড়া-৭ আসনে গাবতলী উপজেলার মধ্যকাতুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং বগুড়া-৪ আসনের নন্দীগ্রাম উপজেলার ধীরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রাতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
গাবতলী ও নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় অন্য ঘটনাটি ঘটে গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়নের সরধনকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
সোনারায় ইউনিয়নের নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা পুলিশের ওসি খালেকুজ্জামান জানান, ওই কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। তবে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স ছিল না।
এখানে নির্বাচনী সরঞ্জাম নেয়া হবে ভোট গ্রহণের দিন রোববার ভোরে।
নেত্রকোনা: দুই উপজেলায় তিনটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সদর উপজেলার মনাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দনকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কলমাকান্দা উপজেলার জনতা কৈলাটি জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে আগুন দেয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি এম এ কাউসার জানান, এলাকাবাসী আগুন দ্রুত নিভিয়ে ফেলায় কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কলমাকান্দা থানার ওসি বজলুর রহমান একটি কেন্দ্রে আগুন দেয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন এসব ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পটুয়াখালী: সদর উপজেলায় দুটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়েছে।
সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ৪৬নং মধ্য নন্দিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দশমিনা উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে আগুন দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নন্দিপাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফের ডটকমকে জানান, স্কুলের একতলা ভবনের চারটি রুমের সামনের দরজাগুলো আগুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুলের পাশে একটি খড়ের গাদাও সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে।
সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফের ডটকমকে জানান, নন্দিপাড়া ভোট কেন্দ্র ভবনের দরজায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
দশমিনা থানার ওসি মো. নাজমুল আলম জানান, দাসপাড়া স্কুল ভোট কেন্দ্রের ভবনের ছাদ পুড়ে গেছে।
গাইবান্ধা: দুই উপজেলার চারটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বত্তরা।
এগুলো হচ্ছে, সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের তিনদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সুলতানগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহোদীপুর ইউনিয়নের মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিশ্রামগাছী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পলাশবাড়ী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়।
রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, তিনদহ স্কুলের অফিস কক্ষের দরজা-জানালা পুড়ে গেছে।
পলাশবাড়ী থানার এসআই তৌহিদুল ইসলাম জানান, আগুনে মহেশপুর স্কুলের একটি কক্ষের দরজা, বিশ্রামগাছী স্কুলের একটি কক্ষ, সুলতানগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ আগুনে পুড়ে গেছে।
মানিকগঞ্জ: শিবালয় উপজেলায় দুইটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এতে নিহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের বেড়া, চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শিবালয় থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহালপুর স্কুলের কেন্দ্রে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে স্কুল ঘরের একটি বেড়া পুড়ে গেছে।
আগুন দেয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
টাঙ্গাইল: সদর ও গোপালপুর উপজেলার চারটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, করটিয়া ইউনিয়নের ঢেলি করটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এইচ এম ইনস্টিটিউশন স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রের দরজায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রতিষ্ঠানদুটির বেশ কয়েকটি দরজা পুড়ে যায়।
গোপালপুর থানার ওসি জসিম উদ্দিন সরকার জানান, ভাদুরীরচর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দরজায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে আগুনে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
দিনাজপুর: সদর উপজেলায় তিনটি ভোট কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে।
বড়ইল স্কুলের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অফিস কক্ষের আসবাবপত্র ও নতুন পাঠ্যবইসহ সব মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা জানালা ভেঙ্গে কক্ষে আগুন দিয়েছে।
বরগুনা: চারটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অপর দুটি কেন্দ্রে আগুন দেয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের উপস্থিতির কারণে তারা ব্যর্থ হয়।
জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার ওসি আজম খান ফারুকী জানান, পাঠাকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেকগুলো বেঞ্চ ও চেয়ার পুড়ে গেছে। পূর্ব লেমুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া লতাবাড়িয়া বিদ্যালয়ের একটি দরজা পুড়ে গেছে।
আমতলী থানার ওসি শামসুল হক জানান, মধ্য আড়পাঙ্গাশিয়া রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি টিনের ঘর রাতে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
রংপুর: রংপুরের দুটি আসনে চারটি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে।
রাতভর রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হাতবোমার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রংপুর-৩(সদর) আসনে নগরীর পীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুলাটোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মহিন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে পত্মীতলা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। তবে নৈশপ্রহরীরা টের পাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি।
পীরগাছা থানার ওসি মকবুল হোসেন বলেন, রাত ৩টা পর উপজেলার কাঁন্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও একটি বড় খড়ের গাঁদা পুড়ে গেছে।
পিরোজপুর: পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের মিরুখালী ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত একটি স্কুলের পাশে অপর একটি পরিত্যক্ত ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি জানান, ভোট কেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ‘পরিত্যক্ত’ দেবীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা এসে তা নিভিয়ে ফেলায় উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
রাজশাহী: চারঘাট উপজেলায় চারটি ভোট কেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
চারঘাট মডেল থানার ওসি খন্দকার গোলাম মোর্তুজা জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে সারদা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে দরজা, জানালা ও পর্দা পুড়ে গেছে।
রাত সোয়া ১২টার দিকে কালাবিপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের চারটি কক্ষে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে বিদ্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চসহ টিন সেটের চারটি কক্ষ পুড়ে গেছে।
সাড়ে ১২টার দিকে শলুয়া ডিগ্রী কলেজের একটি ও ভোররাতে বালিবায়ায় সারদা উচ্চ বিদ্যালয়ের চারটি কক্ষের শিক্ষার্থীদের বেঞ্চসহ চেয়ার, টেবিল ও দরজা জানালা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
পরে পুলিশ, দমকল কর্মী ও স্থানীয় লোকজন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ চারটি স্কুলেই ভোট কেন্দ্র হওয়ায় নির্বাচন প্রতিহত যারা করতে চায় তারাই আগুন দিয়েছে বলে মনে করেন ওসি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালাবিপাড়া স্কুলের এক শিক্ষক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা গানপাউডার ছিটিয়ে বিদ্যালয়ের চারটি কক্ষে আগুন দেয়।
খবর দেয়ার পরও দমকলকর্মীরা না আসায় চারটি কক্ষই পুড়ে যায় বলে তার অভিযোগ।
এদিকে, নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি এবিএম রেজাউল করিম বলেন, রাত সোয়া ১০টার দিকে কোর্ট স্টেশন এলাকায় চেতন-৭১ কার্যালয় ভাংচুরের পর পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এসময় তারা একটি বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে ওসি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ভোর রাতে শহরের কাছে ‘ক্ষুদ্র ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ আগুন দেয়া হয়। আগুনে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষের টিনের ছাদ পুড়ে যায়।
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. আবদুর রব জানান, কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে।
সিলেট: জৈন্তাপুর উপজেলায় দুটি ভোট কেন্দ্রে ভোররাতে আগুন দেয়া হয় বলে জৈন্তাপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানিয়েছেন এগুলো হল- জৈন্তাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও তুবাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তুবাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম জানান,গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষের দরজা,জানালা ও কিছু আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
ঝিনাইদহ: শৈলকুপা উপজেলার ললিত ভুইয়াঁ সরকারি প্রাইমারি স্কুল ভোট কেন্দ্রে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এতে দুটি কক্ষের আসসবাবপত্র পুড়ে যায় বলে শৈলকুপা থানার ওসি এম এ বারী জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, সদর উপজেলার বিষয়খালী সরকারি প্রাইমারি স্কুল ভোটকেন্দ্রেও আগুন দেয়ার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। আগুনে একটি দরজার খানিকটা ও এক পাশের বেড়ার সামান্য অংশ পুড়েছে।
নাটোর: সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের ক্ষিদ্রবড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে দুইটি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ও তার পাশের একটি কক্ষে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয় বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা আমরা জানতে পারিনি। বিদ্যালয়ের আশে পাশের বাসিন্দারা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থক। তাই আমরা ভোট গ্রহণ নিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলাম।”
সিরাজগঞ্জ: বেলকুচি উপজেলায় দুটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়ে চারটি কক্ষ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও তরিকুল ইসলাম জানান, দেলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরনবীপুর কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আগুন দেয়ার পর স্থানীয়রাই নিভিয়ে ফেলে।
ফেনী: আগের রাতে ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় পাঁচ ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়ার পর এবার সোনাগাজী উপজেলায় তিনটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আগুনে ওই ভোট কেন্দ্রগুলোর বিভিন্ন কক্ষে আসবাপত্রসহ ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে দাগনভূঞায় পুড়ে যাওয়া তিন ভোট কেন্দ্রের মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দুটি ভোট কেন্দ্রের পাশে সুবিধাজনক স্থানে ভোট গ্রহনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুভাস চন্দ্র পাল জানান, উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের সেনেরখিল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও একই ইউনিয়নের বাগিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া নবাবপুর ইউনিয়নের গোয়ালিয়া গ্রামের অন্নদাচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়।
আগুনে ভোট কেন্দ্রগুলোর উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটলেও ক্ষতিগ্রস্ত ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার।
ফরিদপুর: ফরিদপুর-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকা চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা মেরে আগুন দিয়েছে।
ইউএনও মাহবুব হাসান শাহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এতে ওই কেন্দ্রের একটি কক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে আরো কক্ষ থাকায় ভোট গ্রহণে কোনো অসুবিধা হবে না।
কিশোরগঞ্জ: করিমগঞ্জ উপজেলায় তিনটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
করিমগঞ্জ থানার ওসি আখতারুজ্জামান বলেন, দুর্বৃত্তরা নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পেট্রোল ঢেলে গুজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাংগাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন দিয়েছে।
তবে ঘটনার খবর শুনে পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুঞ্জুরুল আলম জানান, দ্রুত নিভিয়ে ফেলায় আগুনে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুনের ঘটনা ভোট গ্রহণে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।
ভোলা: জেলার দৌতখান, তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলায় একটি করে ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন দেয়ার ঘটনায় এক বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান জানান, দৌলতখানের সৈয়দপুর ইউনিয়নের মধ্য চরশুভী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীরা ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দেয়। পরে দমকল বাহিনীর কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া তজুমদ্দিনের সোনাপুর ইউনিয়নের চাপড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানান, ভোলার ৩টি ভোট কেন্দ্রে আগুন দেয়া হলেও তেমন ক্ষতি হয়নি। সেখানে ভোট গ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না।
যশোর: যশোরের বাঘারপাড়ায় একটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার সকালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কয়েলখালি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভিয়ে ফেলায় বড় ধরনর ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বাঘারপাড়া ওসি জি জি বিশ্বাস জানান, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কয়েলখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সেখানে থাকা পুলিশ আগুন নিভিয়ে ফেলে এবং দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করে। বিভিন্ন এলাকায় ভোটকেন্দ্র আগুন দেয়ার গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম: নাগেশ্বরী উপজেলার খামার হাসনাবাদ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আগুনে স্কুলের দরজা-জানালা ও ব্রেঞ্চ পুড়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ জানান, আগুন দেয়ার পর ওই কেন্দ্র আবার ভোট গ্রহণের উপযোগী করা হয়েছে।
নীলফামারী: ডোমার উপজেলায় তিনটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের গোবাচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর ইউনিয়নের ভাদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের বটতলী ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় নির্ধারিত কেন্দ্রে আগুন দেয়া হয় বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
গোবাচরা স্কুলের আগুন স্থানীয়রা এবং বাকি দুটি স্কুলের আগুন দমকল বাহিনীর কর্মীরা নিভিয়ে ফেলে।
ডোমার থানার ওসি কফিল উদ্দিন জানান, আগুনে ভাদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের অফিস কক্ষ ও তিনটি কক্ষের দরজা ও বটতলী ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের কয়েকটি কক্ষের বেঞ্চ, টিনের চালার কাঠ পুড়ে যায়।
শেরপুর
শেরপুর সদরের দুটি ভোটকেন্দ্রে শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে। তবে, স্থানীয় দ্রুত নিভিয়ে ফেলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফ হোসেন জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে দূর্বৃত্তরা পাকুরিয়া ইউনিয়নের গনইভরুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের দরজায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
এছাড়া রাত ১১টার দিকে গাজীরখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের দরজায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানে থাকা নির্মাণ শ্রমিকরা নেভান।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নরসিংদী
নরসিংদীর সদর ও পলাশ উপজেলায় দুইটি ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করেছে।
জেলা শহরের বানিয়াছল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পলাশের নোয়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. ওবায়দুল আজম জানান, কেন্দ্রগুলোতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য।
ঘটনার সময় কেন্দ্রগুলোতে কোনো নির্বাচনী সরঞ্জামাদি ছিল না বলে তিনি জানান।
নওগাঁ: সদর উপজেলার ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের একটি কক্ষে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
শনিবার বিকালে বিদ্যালয় ভবনের পেছনের দিক থেকে জানালা দিয়ে কক্ষের মধ্যে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।
এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সাইদুর রহমান জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার, ব্যালট বক্স ও নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছার পরপর দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের থাকার একটি কক্ষে পেছনের জানালা দিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়।
ওই সময় সেখানে থাকা পুলিশ, আনসার ও তিনি নিজে (প্রিসাইডিং অফিসার) আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
নওগাঁর পুলিশ সুপার কাইয়ুমুজ্জামান খান জানান, ঘটনা তেমন কিছু নয়। কেউ বা কোনো মহল আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।