হল-মার্ক কেলেঙ্কারির মামলায় সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীরকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
Published : 13 Nov 2013, 06:54 PM
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে হল-মার্ক গ্রুপ জালিয়াতির মাধ্যমে আড়াই হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় তিনি দেশের সবচেয়ে বড় এ ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে ছিলেন।
বুধবার হুমায়ুন কবীর ছাড়াও সোনালী ব্যাংকের তখনকার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইনুল হকসহ পলাতক ১৬ আসামিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার জজ আদালত।
সোনালী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির এই ১১ মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে দেয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ আদেশ দেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জহুরুল হক।
পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়ে সে বিষয়ে প্রতিবেদন আগামী ২৭ নভেম্বর আদালতে দাখিলের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দেশের আলোচিত এ ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় এর আগে হল-মার্ক গ্রুপের শীর্ষ কর্তা ও সোনালী ব্যাংকের মধ্যম সারির কয়েকজন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেনে হুমায়ুন কবীর।
পলাতক ১৭ আসামির মধ্যে হল-মার্ক সংশ্লিষ্টরা হলেন-অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম, স্টার স্পিনিং মিলসের মালিক মো. আব্দুল বাছির, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক।
সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা হলেন-ডিএমডি মাইনুল হক (বর্তমানে ওএসডি), প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ (বর্তমানে ওএসডি), দুই এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও এজাজ আহম্মেদ, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও ধানমন্ডি শাখার (বর্তমান) জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।
সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
আলোচিত এই মামলায় হল-মার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ,তার ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার বাকি আসামি তানভীর মাহমুদের স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম জামিনে আছেন। তিনি বুধবার আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন নেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর এই ২৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। গত বছরের ৪ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করে দুদক। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।