‘সংরক্ষিত’ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা অর্ধদণ্ডের বিধান রেখে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০১৩’ সংসদে পাস হয়েছে।
Published : 10 Nov 2013, 05:28 PM
বিলে, ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। পরে এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ২৭ অক্টোবর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী। পরে এটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষি প্রধান এলাকা, প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।
এছাড়া অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা খুললে এক বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো আইন ১৯৯৩ এবং ২০০১ সালে পরিবর্তন করা হলেও পরিবেশ রক্ষায় আরো উদ্যোগী হতে আইনটি আবার নতুন করে করা হচ্ছে।
আগের আইন পার্বত্য এলাকার জন্য প্রযোজ্য ছিল না। এবার পার্বত্য এলাকাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, পার্বত্য জেলার পরিবেশ উন্নয়ন কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্যকোনো স্থানে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।
প্রস্তাবিত আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন-১৯৮৯’ রহিত হবে।