সোনালী ব্যাংক থেকে হল-মার্কের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির এমডি তানভীর মাহমুদসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ১১ মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
Published : 07 Oct 2013, 04:06 PM
আদালতে দুদকের প্রসিকিউটিং বিভাগের কর্মকর্তা মো. আবদুর রশিদ জানান, এসব মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৮০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মহানগর হাকিম আতাউল হকের আদালতে এসব অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ১৭ অগাস্ট এসব অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক।
ওইদিন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) সাহাবউদ্দিন চুপ্পু সাংবাদিকদের জানান, সোনালী ব্যাংকের ১২০০ কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগপত্রে যাদের নাম এসেছে তারা হলেন- হল-মার্কের এমডি মো. তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ; ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া,সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, কর্মকতা মো. জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম,স্টার সিপিনিংয়ে মালিক আবদুল বাসির।
এছাড়া টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, প্যারাগন গ্রুপের পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক, সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারের নাম এসেছে অনুমোদন পাওয়া প্রতিবেদনে।
সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে রূপসী বাংলা শাখার ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান, কর্মকর্তা মো. সাইফুল হাসান, আবদুল মতিন ও মেহেরুন্নেসা মেরি, ননী গোপাল নাথ, মফিজইদ্দিন, মীর মহিদুর রহমান, হুমায়ুন কবির, মাইনুল হক, আতিকুর রহমান, শেখ আলতাফ হোসেন, মো. সফিকউদ্দিন আহমেদ ও মো. কামরুল হোসেন খান।
আসামিদের মধ্যে জেসমিন ইসলাম জামিনে রয়েছেন। আর কারাগারে থাকা সাত জন হলেন- তানভীর মাহমুদ, তুষার আহমেদ, একএম আজিজুর রহমান, মীর মহিদুর রহমান, শেখ আলতাফ হোসেন, মো. সফিজ উদ্দিন, মো. আতিকুর রহমান।
বাকি পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।
২০১২ সালের ৪ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করে দুদক।
সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল শাখা থেকে হলমার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে পরিশোধিত (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা।
দুদকের উপ- পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি বিশেষ টিম এ ঘটনার তদন্ত করেন।