রামপাল নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, চীন ও মালয়শিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে সরকার আরো দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে।
Published : 03 Oct 2013, 12:04 AM
সরকার ১১টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে তা থেকে ৬৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা ভাবছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লানির্ভরতা বাড়ানোর পরিকল্পনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপালে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করায় পরিবেশবাদীদের সমালোচনার মধ্যে রয়েছে সরকার।
তবে এসব সমালোচনার মধ্যেও জ্বালানি সঙ্কট মোকাবিলায় কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
গত রোববার বেসরকারি খাতে ১৫০০ থেকে ২৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার পাঁচটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এছাড়া বেসরকারি খাতে খুলনা, চট্টগ্রাম ও মুন্সীগঞ্জে ৬০০ থেকে ১২৫০ মেগাওয়াটের তিনটি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি হয়েছে।
এসব তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা শুধু গ্যাসভিত্তিক নয়, কয়লা, পারমাণবিক ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি।”
“কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াচ্ছি আমরা। নতুন পাঁচটি কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিয়েছি আমরা। তিনটির কাজ চলছে। মালয়শিয়ার সঙ্গে একটি করব এবং চীনের সঙ্গেও ১৩০০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করব আমরা।”
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাড়ে চার বছর আগে তারা ক্ষমতা নেয়ার সময় দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩২০০ মেগাওয়াট, যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬৭৫ মেগাওয়াটে।