সিরাজগঞ্জ পলিকটেনিক ইনন্সিটিটিউটে শিক্ষার্থী পুলিশ সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।
Published : 30 Sep 2013, 12:39 PM
এ সব মামলায় ১৮শ শিক্ষার্থী ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে বলে সদর থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান।
এদিকে দুই দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সিরাজগঞ্জ পলিকটেনিকের ছাত্ররা।
সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আনিছুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্দোলনরত ছাত্ররা সদর উপজেলার ফকিরতলা এলাকায় ইনস্টিটিউটের সামনে সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধের চেষ্টা করে।
এতে বাধা দিলে অবরোধকারীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। এ সময় কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ওই এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে সহকারী উপ-পরিদর্শক আনিছ জানান।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদোন্নতির কোটা ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রোববারও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
সদর থানার ওসি হাবিবুল জানান, রোববারের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় সাড়ে ৫ শ’ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
অধ্যক্ষের বাসভবন ও কলেজের আসবাবপত্র ভাংচুর ও পরীক্ষা নিতে বাধা দেয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষ আই জি মাহমুদ তিন জনের নাম উল্লেখ করে আরে ৫ থেকে ৬ শ’ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করেছেন আরেকটি মামলা।
আর বাস ভাংচুরের ঘটনায় সিরাজগঞ্জ মটর শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক রহিম উদ্দিন ছয় থেকে সাতশ ছাত্রকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে রোববার চার জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের প্রথম মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।