রানা প্লাজা ধসে নিখোঁজদের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেয়া সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ২৬১ জনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
Published : 01 Sep 2013, 08:04 PM
সাভারে ধসে পড়া ওই ভবনে উদ্ধার অভিযান শেষের প্রায় চার মাস পর রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ সংক্রান্ত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “৩২৯ জন নিখোঁজ ব্যক্তির তালিকা সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাচাই-বাচাইয়ের পর ২৬১ জনকে প্রকৃত নিখোঁজ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।”
২৬১ জন নিখোঁজের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও আইএসপিআর জানায়।
গত ২৪ এপ্রিল সাভারের নয় তলা রানা প্লাজা ধসে পড়লে এর নিচে চাপা পড়ে ওই ভবনে থাকা পাঁচটি কারখানার বহু শ্রমিক।
মোট ১১১৫টি লাশ উদ্ধারের পর গত ১৩ মে উদ্ধার অভিযান শেষ করে সেনাবাহিনী। জীবিত অবস্থায় ২৪৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে ১২ জন হাসপাতালে মারা যায়।
উদ্ধার অভিযান শেষের পরও সাভার বাস স্ট্যান্ডের ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপের সামনে বহু মানুষকে স্বজনদের খোঁজ করতে দেখা গিয়েছিল। নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধানে পরে ঢাকায়ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
ধসে পড়া ওই ভবনে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা লাশের মধ্যে ২৩৪ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বেওয়ারিশ হিসেবে তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে আদালতের নির্দেশে গঠিত একটি কমিটি কাজ করছে, ওই কমিটির কাজের বিবরণ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠায় আইএসপিআর।
গত ৬ মে হাই কোর্টের এক রুলের পরিপ্রেক্ষিতে রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের ক্ষতিপূরণের হার নির্ধারণের জন্য সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসিসহ সংশ্লিষ্ট অফিস/দপ্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে ওই কমিটি গঠন করা হয়।
নবম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এই উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন; যাতে সেনাবাহিনী, দমকল বাহিনী, র্যাব, পুলিশ, রেড ক্রিসেন্টের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরাও ছিলেন।
ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য গত ২৯ অগাস্ট কমিটি বৈঠক করেছে। ওই সভায় খসড়া ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার করে কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম এম আকাশকে সভাপতি করে ক্ষতিপূরণের হার নির্ধারণ সাব-কমিটি এবং ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেসের পরিচালক (হসপিটাল সার্ভিসেস) অধ্যাপক এবিএম আব্দুল হান্নানকে সভাপতি করে স্বাস্থ্যগত পর্যায় নির্ধারণী সাব-কমিটি করা হয়েছে।
এই দুই সাব-কমিটি আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেবে। ওই প্রতিবেদন হাতে পেয়ে কমিটি পুনরায় বৈঠকে বসবে বলে জানানো হয়েছে।