গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে মুহাম্মদ ইউনূস কার্যত রাজনীতি করছেন বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
Published : 22 Aug 2013, 07:34 PM
“ড. ইউনূস একজন কৌশলী রাজনীতিবিদ, তবে রাজনীতিবিদের খোলসটা পরতে চান না। তার রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলা অন্যায়,” বলেছেন তিনি।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনূস বুধবার বলেছিলেন, “যারা গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙতে চায়, দেশের মানুষ ও নাগরিকদের প্রতি তাদের মমত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। তাদের হাতে কি দেশ তুলে দেয়া যায়?”
ইউনূসের ওই বক্তব্য নিয়ে বৃহস্পতিবার সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে ডেকে প্রতিক্রিয়া জানান মুহিত।
অর্থমন্ত্রীর এই প্রতিক্রিয়ায় মধ্যেই ঢাকায় আরেকটি অনুষ্ঠানে ইউনূস বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।”
গ্রামীণ ব্যাংকের পদ থেকে অপসারণের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কে জটিলতার মধ্যে গণমাধ্যমের সামনে এই প্রথম বিএনপির দাবির সঙ্গে সহমত জানালেন ইউনূস।
নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের বিপরীত অবস্থানের কারণে অনেকে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা করলেও অর্থমন্ত্রী মনে করেন, নির্বাচনের আগেই একটি সমঝোতা হবে।
সেইসঙ্গে বিরোধী দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিরোধী দল নানা অজুহাতে তত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে আন্দোলনের পথ খুঁজছে।
“খালেদা জিয়ার আমলে কোনো দিনই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে দেশে সবসময় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।”
সিলেট সার্কিট হাউজে ওই সংবাদ সম্মেলনে মুহিত বলেন, “ড. ইউনূস এখন যা করছেন, তা একান্তই রাজনীতিবিদদের কাজ। তার কর্মকাণ্ড নীতি বিবর্জিতভাবে গ্রামীণ ব্যাংককে ধ্বংস করার একটি উদ্যোগ।”
“সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে নিয়ে গর্ব বোধ করে এবং এর ক্ষতি কখনো সরকার করতে পারে না।”
সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে ভেঙে টুকরো করার পরিকল্পনা করেছে বলে অভিযোগ করে আসছেন ইউনূস, যাকে মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০১১ সালে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলেন নোবেলজয়ী ইউনূস। তাতে হেরে নিজেই পদত্যাগ করেন তিনি।