যুদ্ধাপরাধে আল-বদর বাহিনীর কমান্ডার আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে প্রসিকিউশন।
Published : 17 Jul 2013, 07:46 AM
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার পর প্রসিকিউশনের সমন্বয়ক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান বলেন, “একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিলো বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড। এ রায়ের মাধ্যমে জাতি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার পেল।”
তিনি বলেন, “এ রায়ের মাধ্যমে সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন, শহীদ রুমিসহ মুক্তিযুদ্ধে অনেক মানুষকে হারানোর যে ব্যাথায় আমরা ধুকে ধুকে কাঁদছিলাম তার বিচার হলো।”
“আল বদর বাহিনীর নেতা হিসেবে মুজাহিদ এ সব হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন।”
তিনি বলেন, একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ মানব সভ্যতাকে কলঙ্কিত করেছে। বদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে মুজাহিদের এসব মানবতাবিরোধী অপরাধে উল্লেখযোগ্য ও নেতৃস্থানীয় অংশগ্রহণ ছিলো।
“উই আর হ্যাপী।”
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড, একটিতে পাঁচ বছর এবং আরেকটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
তার বিরুদ্ধে যে দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি সে দুটি নিয়ে আপিল করার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান প্রসিকিউশনের সমন্বয়ক এম কে রহমান।