পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব দেখছেন মহাজোট সরকারের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।
Published : 22 Apr 2013, 08:24 AM
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘পার্বত্য-চট্টগ্রাম চুক্তি (১৯৯৭) বাস্তবায়নের বর্তমান অবস্থা’ শিরোনামের এক সেমিনারে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এই চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
বর্তমান সরকারের মেয়াদেই শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “শান্তিচুক্তি এই সরকারের আমলে বাস্তবায়ন না হলে আর বাস্তবায়নের পর্যায়ে নেয়া যাবে না।”
১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করে অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরে পাহাড়িরা। গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, যার চেয়ারম্যান হন সন্তু লারমা।
তবে ভূমি বিরোধসহ ওই চুক্তির সব ধারা এখনো বাস্তবায়িত না হওয়ায় অসন্তোষ রয়েছে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির।
এ চুক্তি বাস্তবায়নে নতুন নতুন বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে মন্তব্য করে মেনন বলেন, “চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিরোধী শক্তিগুলোও সংগঠিত হচ্ছে।”
তাছাড়া জনসংহতি সমিতির অভ্যন্তরীণ বিরোধ পার্বত্য অঞ্চলকে আরো বেশি অশান্ত করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সেমিনারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি আনতে হলে চুক্তির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। এই শর্ত বাস্তবায়ন ছাড়া কোনোভাবেই শান্তি আসবে না।”
চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি-বিরোধ নিরসনের বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নেয়া এবং সেখানে ‘সামরিকীকরণ’ বন্ধ করা দরকার বলেও তিনি মনে করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক সৌরভ শিকদার সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অন্যদের মধ্যে মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ড. নিরু কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধি গৌতম কুমার চাকমা ও আদিবাসী নেতা শক্তিপদ ত্রিপুরা এ সেমিনারে অংশ নেন।