শর্ত ভেঙে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়ার পর পুলিশ কমিশনারের দিকে পানির বোতল ছুড়েছে হেফাজত কর্মীরা।
Published : 06 Apr 2013, 08:12 AM
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক লিটন হায়দার জানান, সমাবেশ চলাকালে পুলিশ পল্টনের ইউবিএল ক্রসিং এলাকায় ব্যারিকেড দিলে শ’ খানেক হেফাজত কর্মী তা ভেঙে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়।
এর ঘণ্টাখানেক পর মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজির আহমেদ প্রেসক্লাবের সামনে এসে হেফাজত কর্মীদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
এক পর্যায়ে হেফাজত কর্মীদের জমায়েত থেকে পুলিশ কমিশনারের দিকে পানির বোতল ছুড়ে মারা হয় বলে লিটন হায়দার জানান।
এরপর বেনজির আহমেদ সেখান থেকে চলে যান। তিনি বা উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
পুলিশ কমিশনার চলে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশের একজন উপ কমিশনার হেফজতের দুই নেতাকে নিয়ে আসেন পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য।
কিন্তু কর্মীদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে হেফাজতের ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবীকে পরিস্থিতি ‘সামলে রাখার’ দায়িত্ব দিয়ে চলে যান নেতারা।
এদিকে এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় কয়েকজন সাংবাদিক হেফাজত কর্মীদের ধাওয়ার শিকার হন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক ফয়জুল সিদ্দিক জানান।
তিনি বলেন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর ও চ্যানেল আইয়ের সংবাদকর্মীরা সমাবেশের খবর ও ভিডিও সংগ্রহের সময় হঠাৎ অর্ধশতাধিক হেফাজত কর্মী তাদের ধাওয়া করে।
সমাবেশে অংশ নিতে আসা মাওলানা ইসমাইল হোসেন বলেন, “ওই রিপোর্টার এই জনসমাগমকে মৌলবাদীদের জাগরণ বলায় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়।”
তবে ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মানস রায় এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি।
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের ব্লগারদের ‘নাস্তিক’ আখ্যায়িত করে তাদের শাস্তির দাবিতে এই সমাবেশ করছে হেফাজতে ইসলাম।
রাজনৈতিক বক্তব্য না দেয়াসহ ১২টি শর্তে তাদের এই সমাবেশের অনুমতি দেয় মহানগর পুলিশ।
শাপলা চত্বর থেকে নটরডেম কলেজ-আরামবাগ হয়ে ফকিরাপুল ক্রসিং পর্যন্ত এই সমাবেশ করার অনুমতি থাকলেও দুপুরের আগেই জমায়াতের সীমানা নির্ধারিত সীমানা পার হয়ে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেসক্লাবের সামনেও জমায়েত করার অনুমতি নেই হেফাজত কর্মীদের।