মমতাজ উদ্দিন হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন

নাটোরের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মমতাজ উদ্দিন হত্যা মামলায় নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালাত।

এছাড়া প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ প্রামাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনজন।

বুধবার সকালে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের বিচারক একরামুল হক চৌধুরী এ রায় দেয়।

তিনি বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই আদেশ দেয়া হলো।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জামিনে থাকা শামীম হোসেন (৩৫), আরিফ (৪৪), আইনাল হোসেন (৪৮), আসলাম হোসেন (৪২), মিঠু (২৮), সুজন (৩৪), ফারুক বাবু (৩২) এবং পলাতক আসামী আলম হোসেন (৩৬) ও  বাবু (৩০)

রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা আসামীরা আদালতে উপস্থিতি ছিলেন।

বেকসুর খালাস পান আনিসুর রহমান (৬২), শুকুর বাবু (৩২) ও সান্টু (৩৫)।

নিহতের স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শেফালী মমতাজ, পুত্র সাগর ও মামলার বাদী নিহতের ভাই আবুল কালাম আজাদসহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এই রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি জানিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।”

ট্রাইবুন্যালের বিশেষ পিপি এনতাজুল হক বলেন, “আমরা আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিলাম।”

আসামীপক্ষের আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম বলেন, “সরকার মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ার পরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ায় আমরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

২০০৩ সালের ৬ জুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় নাটোর- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মমতাজ উদ্দিনকে।

এ ঘটনায় ১৬জনকে আসামী করে লালাপুর থানায় হত্যা মামলা করা হয়। ওই বছরই মামলাটি চাঞ্চল্যকর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু ২০০৪ সালে হাইকোর্ট মামলাটি স্থগিত করে। দীর্ঘ প্রায় আট বছর স্থগিত থাকার পর গত বছর ৪ নভেম্বর পুনরায় মামলাটির বিচার কাজ শুরু হয়।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন কারণে তিন দফা তারিখ পরিবর্তনের পর এই রায় ঘোষণা করা হলো।