সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ‘উস্কানিদাতা’ হিসেবে মাহমুদুরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গণজাগরণ মঞ্চের স্মারকলিপি দেয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন মাহমুদুর।
সংবাদপত্রের কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “শাহবাগে আন্দোলনকারীদের কোনো আদর্শ নেই। সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই সাজানো এ নাটক।”
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চলছে, যা সারাদেশে গণজাগরণ সৃষ্টি করেছে।
মাহমুদুর সংবাদ সম্মেলনেও বলেন, “এই আন্দোলন ফ্যাসিবাদ ছাড়া আর কিছু নয়। দুদিন আগেও যেখানে ফাঁসির দাবি ছিল, সেখানে এখন মাহমুদুর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবিটিই প্রধান হয়েছে।”
গণজাগরণ মঞ্চ থেকে আমার দেশ, নয়া দিগন্ত, সংগ্রাম, দিগন্ত টেলিভিশন বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মাহমুদুর বলেন, “একমাত্র আমার দেশ সাধারণ মানুষের মুখপাত্র। অন্য সকল মিডিয়া পুঁজিপতিদের।”
এই পর্যায়ে তিনি আরো বলেন, “সাংবাদিক নেতারা দলবাজ।”
আমার দেশের সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিক নেতাদের অনেকেই সমালোচনা করছেন।
কালের কণ্ঠ, যুগান্তর ও সমকালের সাবেক সম্পাদক আবেদ খান সোমবার এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বলেন, আমার দেশের মালিকানার ৭০ শতাংশ এখন জামায়াতের।
শাহবাগের আন্দোলনকারীরা ‘রাষ্ট্রের ভেতরে রাষ্ট্র’ তৈরি করেছে দাবি করে মাহমুদুর বলেন, “কোথায় জাতীয় সঙ্গীত, কোথায় পতাকা উড়বে, তারা এ নির্দেশ দেয়। তারা কোনো আইন মানে না। তাদের বিরুদ্ধে কোন আদালত অবমাননা হয় না।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের দাবিতে মঙ্গলবার একবিংশতম দিনের মতো চলছে শাহবাগের আন্দোলন।
“এই সরকার পরিবর্তন হলে তখন যদি কেউ এভাবে জমায়েত হয়ে কাউকে গ্রেপ্তারের দাবি তোলে, তখন আপনারা (সরকার) কী করবেন,” আওয়ামী লীগের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন তিনি।
সাম্প্রদায়িক সংঘাতের উস্কানি দেয়ার অভিযোগে মাহমুদুরের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা ইতোমধ্যে রয়েছে।
গ্রেপ্তারের জন্য ‘প্রস্তুত’ জানিয়ে আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বলেন, “ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমার দেশ একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব করেছে, তা আমাকে গ্রেপ্তার করলেও অব্যাহত থাকবে।”