ঢাকা, জুন ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মোবাইল ফোনের বিলের ওপর দুই শতাংশ হারে উৎসে কর কাটার প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।
শুক্রবার বিকালে এক কর্মী সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনের বিলের কর বসানোর সমালোচনা করে বলেন, “এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও দুচিন্তা বাড়বে। কেবল তাই নয়, এই বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের ওপর করবৃদ্ধির ফলে জিনিসপত্রের মূল্য আরও বাড়বে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের বাজেটে পোস্ট-পেইড মোবাইল ফোন গ্রাহকের ক্ষেত্রে মোট বিলের ওপর এবং প্রি-পেইড গ্রাহকের ক্ষেত্রে কার্ড বিক্রি বা রিচার্জের সময় দুই শতাংশ হারে এই কর কাটার প্রস্তাব করেন।
বর্তমানে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা বিলের জন্য ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট পরিশোধ করছেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) হিসাবে, বর্তমানে বাংলাদেশে ৯ কোটির বেশি মোবাইল ফোন গ্রাহক রয়েছে।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে ১১ জুন সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এই কর্মী সভা হয়।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে তরিকুল ইসলাম বলেন, “আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে যেসব শর্ত ঋণ নিয়েছে, তাতে আগামীতে আবার বিদ্যুৎ ও তেলের দাম বাড়বে।”
সভায় ১১ জুনের সমাবেশে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তাগিদ দেন তরিকুল।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানার সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব সচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সরকারকে দমননীতি পরিহার করে নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের (উত্তর) উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, “সংঘর্ষের পথ ছেড়ে সমঝোতার পথে আসুন।”
১১ জুন ঢাকার সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন বলেও জানান তিনি।
বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়েছেন, তাদের নামের তালিকা জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে।”
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, উত্তরের আহবায়ক ইয়াসীন আলীসহ নেতাদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হয়।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী রেজাউর রহমান রিপনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, সাবেক ছাত্র নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনীর হোসেন, উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক সাহাবুদ্দিন মুন্না প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/এসইউ/২১০০ ঘ.